আজ ২০ মার্চ।
কুমিল্লার আলোচিত তনু হত্যাকান্ডের পাঁচ বছর পূর্ণ হচ্ছে।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘাতকরা গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে আল্লাহর উপর বিচার ছেড়ে দিয়েছেন তনুর পরিবার।

তনুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার (১৯ মার্চ) বাদ জুমা মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, বড় ভাই নাজমুল হকসহ পরিবারের লোকজন ও এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

এদিন সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ করে তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘কতবার কত স্থানে গিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছি তার হিসাব নাই। মামলার কোনো অগ্রগতি কেউ জানায় না। তনুর মৃত্যুবার্ষিকী এলে সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নেয়, আর কেউ খবর নেয় না।ডিএনএ রিপোর্ট আসতে ৫ বছর লাগার কথা না। ন্যায় বিচার পাব এমন কথা সবাই বলে আসছে।অজ্ঞাত কোনো নম্বর থেকে মোবাইলে রিং এলেই ছুটে যাই, এই বুঝি মেয়ের ঘাতকদের আটক করার কোনো খবর এল। এখন আল্লাহর উপরই বিচার ছেড়ে দিয়েছি।’

২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে তনু নিখোঁজ হয়।পরে রাতে সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুরুতে পুলিশ, ডিবি ও পরে সিআইডি মামলা তদন্ত করেও কোনো কূল-কিনারা পায়নি।সর্বশেষ পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর তনু হত্যা মামলার নথি পিবিআই-ঢাকা কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের পর এরই মধ্যে ৩ দফায় কুমিল্লা সেনানিবাসে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তনুর পরিবারসহ সাক্ষীদের সাথে কথা বলেছেন পিবিআই-ঢাকার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান।

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের সাক্ষ্য গ্রহণসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এরপর থেকে আর কিছুই জানি না। ’