নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির প্রত্যাহার চেয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পৌরসভার প্যাডে লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করার পর তিনি সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে নবনির্মিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ৩য় তলায় আইসোলেশন সেন্টার তৈরির অনুমতি নিয়ে পৌরসভার আর্থিক সহায়তায় করোনা রোগীদের জন্য ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি বসুরহাট কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বাজার করতে পারে সে জন্য বিক্রেতাদের বসার ব্যবস্থা করেন। এ জন্য তিনি পৌরসভার ২ জন কাউন্সিলর ও তার কর্মচারীদের দায়িত্ব দেন। বিষয়টি তিনি পৌরসভার পক্ষ থেকে সামসাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

এ বিষয় অবহিত হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেন ভবন এখনো হস্তান্তরিত হয়নি তাই এখানে আইসোলেশান সেন্টার করা যাবে না। বসুরহাট বাজারের কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সেখান থেকে উঠিয়ে দিয়ে তাদের কলেজ মাঠে ও গরুবাজারে বাজার বসানোর নির্দেশ দেন। যা ব্যবসায়ীসহ কাঁচাবাজার করতে আসা ক্রেতা বিক্রেতা সকলের জন্য অসুবিধা হবে। কারণ কাঁচাবাজার করতে আসা ক্রেতারা মুদি মনোহারী নেওয়ার জন্য আবার বাজারে আসতে হয়। মূলত আমি এ কার্যক্রম নেওয়ায় তারা এ কাজে বাঁধা দিয়েছে।

আইসোলেশান সেন্টারের বিষয়ে তিনি নোয়াখালীর সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি তাকে জানিয়েছেন, সেখানে আপাতত আইসোলেশন সেন্টার করতে কোনো অসুবিধা হবে না। যেহেতু আইসোলেশন সেন্টার ইউএনও ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিচালিত হবে তাই তিনি এ নিয়ে আর কোনো কথা বলেননি।

এর আগেও কভিড ১৯ এর প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদের তার পৌরসভার অর্থায়ানে নির্মিত আইসোলেশন সেন্টারটি বর্তমান ইউএনও ভেঙে দিয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেখান থেকে সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২ হাজার গুলি তার পৌর কার্যালয়ে ছুঁড়েছে। সেখানে থাকা কেয়ারটেকারকে তিনি বের করে অস্ত্রধারীদের নিরাপদ আস্তানা করে দিয়েছেন। তাই তিনি অবিলম্বে বর্তমান ইউএনও ও ওসি ও ওসি তদন্তের প্রত্যাহার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জন্য অনুরোধে জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, মেয়র সাহেব হাসপাতালের যে ভবনে আইসোলেশন সেন্টার করতে চেয়েছেন তা গণপূর্ত বিভাগ এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। এটি আমার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতার মাধ্যমে চলার কথা তা উনার এখতিয়ার না। আর বাজারের বিষয়টি আগে করোনার প্রথম ধাপে কলেজ মাঠে পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ব্যবসায়ীদের সেখানে কাঁচাবাজার স্থানান্তরের জন্য বলেছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জহাহিদুল হক রনি জানান, মেয়র সাহেব তো প্রথম থেকে আমাদের প্রত্যাহার চেয়ে আাসছেন। এটি নুতন কোনো কিছু নয়। উনি এক সময়ে এক বিষয়ে নিয়ে মিডিয়ায় সরব হতে চান। আমরা সরকারে নির্দেশনা পালন করছি। যখন যে আদেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেয় তা পালন করছি।