করোনা সংক্রমণ রোধে আগামীকাল বুধবার থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধ চলাকালে মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাস্তায় টহল দেবে পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারির আগে ও পরে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাউকে রাস্তায় নামতে দেবে না পুলিশ। বিশেষ বা জরুরি প্রয়োজনের কিছু বিষয় এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে। এসব বিষয়ও যাচাই করবে টহলরত পুলিশ। এই সময়ে চলাচলের জন্য পুলিশের কাছ থেকে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে এই পাস সংগ্রহ করা যাবে। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি শ্রেণিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দেবে পুলিশ।
মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি বা খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মৃতদেহ সৎকার, ব্যবসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে এই ‘মুভমেন্ট পাস’।
এ ছাড়া যাদের বাইরে চলাফেরা প্রয়োজন কিন্তু কোনো ক্যাটাগরির সঙ্গে মিল নেই, তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে পাস দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলেও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার এআইজি সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মুভমেন্ট পাস প্রদানের অ্যাপটি উদ্বোধন করবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ’।
যেভাবে পাওয়া যাবে ‘মুভমেন্ট পাস’
movementpass.police.gov.bd এর ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাস সংগ্রহ করতে পারবেন যে কেউ। তবে প্রতিটি পাস একবারই ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ যাওয়া-আসার জন্য আলাদা আলাদা পাস সংগ্রহ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, যার জন্য পাসটি দরকার সেই ব্যক্তির নাম, মোবাইল ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, যে স্থানে যাচ্ছেন সে জায়গার নাম, যেখান থেকে যাবেন সেই স্থানের নাম ও যাত্রার কারণ ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে উল্লেখিত লিংকে আবেদনের পর পুলিশ অনলাইনে কিউআর কোড স্ক্যানারসহ একটি পাস ইস্যু করবে। এই কোডটি স্ক্যান করেই চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা আবেদনকারীর তথ্য ও যাত্রার কারণ নিশ্চিত করবেন।
তবে চলাচলের পাস প্রদানের জন্য একটি বিশেষ অ্যাপও চালু করছে পুলিশ। যেটি ব্যবহার করে জরুরি প্রয়োজনে পাস পাবেন যেকোনো ব্যক্তি।