করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় টানা এক সাপ্তাহের লকডাউনে দেশ। লকডাউনকে কেন্দ্র করে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছে মানুষ। দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকায় অনেকেই ট্রাক ও মাইক্রোবাস, মিনি পিকআপ দিয়ে গন্তব্যে ফিরছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল এলাকায় গতকাল সোমবার দুপুরে এ চিত্র চোখে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী বাড়ি ফেরার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ভাড়া করছে ট্রাকসহ নানা পরিবহন। এমনকি মালবাহী ট্রাকেও মানুষ বাড়ি ফিরছে। এক প্রকার মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই স্বজনদের কাছে ফিরছে মানুষ।
কুমিল্লাগামী যাত্রী আশরাফ হোসেন বলেন, আগামীকাল থেকে টানা লকডাউন চলবে। তাই বাড়িতে গিয়ে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে এ সময়টা কাটাতে চাই। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি কোনো গাড়িই চলছে না। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও কোনো পরিবহন পাচ্ছি না। জানিনা কিভাবে বাড়ি যাব?
রোজিনা ইসলাম নামে এক তরুণী বলেন, চট্টগ্রামের বাঘাই ছড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে সকাল থেকে ছেলে মেয়ে নিয়ে অপেক্ষা করছেন। যেতে পারছেন না। প্রচন্ড রৌদ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর শেখ মোহাম্মদ করিম জানান, আগামী এক সাপ্তাহ দেশ লকডাউন থাকবে তাই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মহাসড়কে। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের সাময়িক কষ্ট হচ্ছে। তবে মহাসড়কের সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করছি আমরা।