সিরাজগঞ্জের এনায়তেপুর মাজার শরীফে আসা নৌকার যাত্রীদের মধ্যে ৮ ‘ভক্ত’ নদীতে পড়ে গেছেন। এদের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের লাশ উদ্ধার করেছে। এখনো অন্তত পাঁচ যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত লাশ এনায়েতপুর দরবার শরীফে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জামালপুর থেকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলীর মাজারে আসছিলেন তারা। তাদের বহনকারী নৌকাটি এনায়েতপুর স্পার বাঁধসংলগ্ন যমুনা নদীতে আসলে স্রোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পাতাসি গ্রামের জহির উদ্দিনের স্ত্রী ঝালিমন বেগম (৬০) ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খুড়মা মধ্য পাড়া গ্রামের জব্বার আলীর স্ত্রী ফুলজান বেগম (৫০)।
এ ছাড়া আহত অবস্থায় মোহাম্মদ লালন (২০) নামে এক যুকককে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া নিখোঁজদের সন্ধান মেলেনি।
এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ জানান, দরবার শরীফের ২০২২ সালের বাৎসরিক ওরস শরীফ উপলক্ষে জামালপুরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহকৃত খেদমতের বাঁশ নিয়ে নৌকাযোগে দরবারে আসছিলেন জাকেরগণ। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের বহনকারী নৌকাটি এনায়েতপুর স্পার বাঁধসংলগ্ন যমুনা নদীতে আসামাত্রই প্রবল স্রোতে কাত হয়ে পড়ে। এ সময় থেকে বেশ কয়েকজন নৌকা আরোহী নৌকা থেকে পড়ে যান।
এনায়েতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন মোল্লা জানান, এলাকাবাসী যমুনা নদী থেকে দুজনের লাশ এবং আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে আরো পাঁচজন।
নিখোঁজ ব্যাক্তিদের পরিচয় জানা গেছে।
তারা হলেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের খুরমা গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে জাহিদ হোসেন (৮), ওমর আলীর স্ত্রী সুফি বেগম (৫০), মিন্টু হোসেনের স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৬) এবং আব্দুস সাত্তার (৬০)।
তিনি আরো জানান, নিখোঁজ পাঁচজনের লাশ উদ্ধারের জন্য রাজশাহীর ডুবুরিদল খবর দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।