করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট ভালো এসেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক দলের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের প্রভিশনাল রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ খুবই কম। স্ক্যানে যেটি ধরা পড়েছে, অত্যন্ত মিনিমাম, মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। যে কারণে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন।’
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান শেষে খালেদা জিয়া তাঁর বাসভবনে ফেরার পর সাংবাদিকদের সিটি স্ক্যানের প্রাথমিক প্রাপ্তি সম্পর্কে অবহিত করেন ডা. জাহিদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের যে প্রভিশনাল রিপোর্ট সেটাও আমরা পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, সিটি ফাইন্ডিং ক্লিনিক্যালি অত্যন্ত মিনিমাম। সেটার জন্য যা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আলোচনার পর যা যা যোগ করতে হয়, করা হবে। এখন সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আগামী দুই সপ্তাহ আমাদের মনোযোগ থাকবে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, দেশনেত্রী যেন আজকের অবস্থা থেকে অতিদ্রুত মুক্তি পান।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সিটি স্ক্যানে যেটি ধরা পড়েছে, অত্যন্ত মিনিমাম, সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবে। আমরা সবাই মিলে, ম্যাডামের চিকিৎসক টিম, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানসহ বিদেশি অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
খালেদা জিয়া শঙ্কামুক্ত কি না জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ হলো, করোনার ক্ষেত্রে ১২/১৩ দিনের আগে কিছু বলা যায় না। তবে সিটি স্ক্যানের প্রভিশনাল রিপোর্ট খুবই ভালো। এটা মাইল্ড পর্যায়ে আছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ায় পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই দলের সদস্যরা জুমে বৈঠক করে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন। এসব বৈঠকে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও থাকেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও গুলশানে ফিরোজার বাসায় তাঁর গৃহকর্মীসহ আরো আটজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন বাড়ি চলে গেছেন এবং বাকিরা ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে ছিলেন। গত বছরের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।