দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্য দলগুলো যেখানে নিজেদের মানিয়ে নিতে হিমশিম খায়, সেখানে তাদের মাটিতেই দুটি সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও ৩-১ ব্যবধানে প্রোটিয়াদের হারিয়েছে বাবর আজমের দল।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সেঞ্চুরিয়ানে চার ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান টস জিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফিল্ডিংয়ের। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে এইডেন মার্করামের ১১ রানে বিদায়ে কিছুটা নড়বড়ে হলেও ধাক্কা সামলান জানেমান মালান ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
মালান ৩৩ রান করে ফিরলেও ডুসেন খেলেন অর্ধশত রানের ইনিংস। তবে ৫২ রান করে ডুসেনের বিদায়ের পর বাকিরা ব্যর্থ হন দুই অঙ্কের কোটায় পৌছাতেও। ফলে ১৯.৩ ওভারে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনটি করে উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী এবং দুটি উইকেট নেন হারিস রউফ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন গত ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফখর জামান ও বাবর আজমের দৃঢ়তায় জয়ের সুবাতাস পায় পাকিস্তান। বাবর ২৪ আর ফখর ৬০ রান করে ফিরলে খানিকটা ব্যাক-ফুটে চলে যায় পাকিস্তান।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ নেওয়াজের অপরাজিত ২৫ রানে ভর করে ১৯.৫ বলে গিয়ে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা। ৩ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় পাকিস্তান।
প্রোটিয়াদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন লিজাদ উইলিয়ামস ও সিসান্দা মাগালা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দক্ষিণ আফ্রিকা : ১৯.৩ ওভারে ১৪৪ (মালান ৩৩, মারক্রাম ১১, ফন ডার ডাসেন ৫২, ক্লাসেন ৯, লিন্ডে ৩, মুল্ডার ৬, ফেলুকওয়ায়ো ১, মাগালা ৭, ফোরটান ৮, উইলিয়ামস ২*, শামসি ০; আফ্রিদি ৪-০-১৯-১, নওয়াজ ৪-০-৪০-১, রউফ ৩.৩-০-১৮-২, হাসান ৪-০-৪০-৩, ফাহিম ৪-০-১৭-৩)।
পাকিস্তান: ১৯.৫ ওভারে ১৪৯/৭ (রিজওয়ান ০, বাবর ২৪, ফখর ৬০, হাফিজ ১০, হায়দার ৩, আসিফ ৫, ফাহিম ৭, নওয়াজ ২৫*, হাসান ২*; ফোরটান ৩-০-২৬-১, মুল্ডার ২-০-১৪-০, উইলিয়ামস ৩.৫-০-৩৯-২, মাগালা ৪-০-৩৩-২, শামসি ৪-০-২১-১, ফেলুকওয়ায়ো ২-০-১১-১, লিন্ডে ১-০-৩-০)।
ফল : পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ৪ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান।
ম্যান অব দা ম্যাচ : ফাহিম আশরাফ।
ম্যান অব দা সিরিজ : বাবর আজম।