নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, পোশাক খাত, রাজধানীর পানি ব্যবস্থাপনা ও সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশকে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি ৬ লাখ টাকা (২০০ মিলিয়ন ইউরো) দেবে জার্মানি। এর মধ্যে ১৭২ মিলিয়ন ইউরো স্বল্প সুদে ঋণ এবং ২৮ মিলিয়ন ইউরো অনুদান হিসেবে দিচ্ছে দেশটি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়। এতে সই করেন বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং জার্মানির পক্ষে দেশটির বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিটার ফাহরেনহোল্টজ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সক্ষমতায় ১৫৬ মিলিয়ন ইউরো, শহর অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২৬ মিলিয়ন ইউরো, টেক্সটাইল খাতে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো, ঢাকায় পানি ব্যবস্থাপনায় ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় ৪ মিলিয়ন এবং পাঠ ও গবেষণায় ২ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘আমরা যেকোনো মূল্যে এই প্রকল্পগুলোর কাজের মান বজায় রাখব। সেই সঙ্গে কাজগুলো করতে গিয়ে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখা হবে।’

Jerman-(1)

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জার্মানি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আগামীতেও তারা আমাদের সঙ্গে থাকবে।’

এ সময় জার্মানির রাষ্ট্রদূত এইচ ই পিটার ফাহরেনহোল্টজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এ দেশের অনেকে আমাদের দেশে পড়াশোনা করছেন এবং বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তাছাড়া বাংলাদেশের পোশাক খাতে আমাদের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। আমরা চাই, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতকে সমৃদ্ধ করতে এবং সেই সঙ্গে প্রকৃতিকেও রক্ষা করতে চাই।’

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ইআরডির এবং বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।