চলতি আইপিএলে টানা দুই ম্যাচে হারের স্বাদ নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে তারা হেরেছে ৩৮ রানের ব্যবধানে। ব্যাঙ্গালোরের ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে কলকাতার ইনিংস থেমে গেছে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে। বল হাতে বেদম মার খাওয়ার পর ২৫ বলে ২৬ রান করেছেন সাকিব আল হাসান- যা দলকে জেতাতে পারেনি। নাইটদের ইনিংসে কোনো পঞ্চাশোর্ধ স্কোর নেই।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাঙ্গালোর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৫) আর ওয়ান ডাউনে নামা রাজত পাতিদর (১) রানে ফিরে যান। সেই ওভারের দ্বিতীয় এবং শেষ বলে এই দুজনকে শিকার করেন বরুন চক্রবর্তী। উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। সাকিব বোলিংয়ে এসে বেদম মার খান। প্রথম স্পেলে দুই ওভার করে দেন ২৪ রান। বাউন্ডারি খান ৩টি আর ছক্কা একটি। এরপর তাকে বোলিংয়ে আনা হয়নি।
অপর ওপেনার দেবদূত পাড্ডিকাল আজ মেজাজে ছিলেন না। ২৮ বলে ২ চারে ২৫ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হয়ে যান। ৯৫ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গী হন এবিডি ভিলিয়ার্স। এই দুজনে নাইট বোলাদের ওপর চড়াও হন। ম্যাক্সওয়েল ৪৯ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় ৭৮ রানে আউট হয়ে যান। তবে এবি ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ৩৪ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৭৬ রানের ইনিংস। ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ২০৪ রান।
রান তাড়ায় নেমে দলীয় ২৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় নাইটরা। নিতিশ রানা (১৮), শুভমান গিল (২১), রাহুল ত্রিপাঠী (২৫) কেউই বড় স্কোর গড়তে পারেননি। এরপর অধিনায়ক মরগ্যান আর সাকিবের ৩১ বলে ৪০ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল। মরগ্যান ২৩ বলে ২৯ রানে ফিরলে জুটির অবসান হয়। সাবেক অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক ফিরেন ২ রানে। জেমিসনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে সাকিবের সংগ্রহ ২৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৬। এছড়া আন্দ্রে রাসেল ২০ বলে ৩১ রান করেন।