মোঃইব্রাহিম, বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ


রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে আর্যপুর বনবিহার এলাকায় বাঙালির ভাড়ায় চালিত মোঃ সাহেদ-এর মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাত তিন পাহাড়ি যুবক। ২১ এপ্রিল বুধবার বিকাল সাড়ে তিন ঘটিকায় এই ঘটনা ঘটে।বাঘাইছড়ি থানার এসআই সাইদ আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে গুলি করে ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমাকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমন চাকমা নামে এক পাহাড়ি মোটর সাইকেল চালককে আটক করা হয় । সুমন চাকমাকে নির্দোষ দাবী করে তার মুক্তি দাবিতে পাহাড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে পাহাড়ি মোটর সাইকেল চালক সমিতির সদস্যরা।

বিশেষ সূত্রে জানা যায় , আটক সুমন চাকমা ইউপিডিএফের সোর্স। সে দীর্ঘদিন হতে ইউপিডিএফের সোর্সের কাজ করে আসছে। আরো কিছু উপজাতি মোটরসাইকেল চালক আছে, যারা ইউপিডিএফ-জেএসএসের কাজ করে। সুমন চাকমাকে আটকের জের ধরে ইউপিডিএফ-জেএসএস হুমকি-দামকি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে।
তারই অংশ হিসেবে “সকল মোটর সাইকেল মালিক সমিতি” নামক নাম দিয়ে অজ্ঞাতভাবে একটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে গত ১৯ এপ্রিল কে বা কা’রা। এতে বলা হয় সমিতির সকল মোটরসাইকেল, টমটম, সিএনজি, জীপ, মাইক্রো ও যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগতসহ সকল যানবাহন আগামী ২০ এপ্রিল থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মালবাহি যান চলাচল অব্যাহত থাকবে। সবাই কর্মসূচী পালনে সহযোগিতা করবেন। সুমন চাকমার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়।

স্থানীয়দের ধারণা ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসী কর্তৃক ভূয়া বিজ্ঞপ্তি ছেড়ে আজ ২১ এপ্রিল সাহেদের মোটরসাইকেল আর্যপুর বনবিহার এলাকায় ৩ উপজাতি মিলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, খুনাখুনি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান সংঘাতে এভাবে আর কত বাঙ্গালীরা হত্যা, হামলা ও ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হবে?

বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উপজেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “রাঙামাটি বাঘাইছড়ি বিগত বছর গুলোতে বেশকয়েকটি হত্যাকাণ্ড, হামলা ও চাঁদাবাজি ঘটনা ঘটিয়েছে, সন্ত্রাসীরা। যার কোনটির বিচার হয়নি, এবং জড়িত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের সময় ৭ খুন ও সম্প্রীতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ঢুকে জনপ্রতিনিধিকে গুলি করে হত্যা ঘটনা গুলোর মধ্যে অন্যতম।” আরো অহরহ ঘটনা ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনা গুলোর পর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো নির্বিঘ্নে বাধা ছাড়া একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে। এই চিত্র শুধু বাঘাইছড়িতে নয় সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে একই