হেফাজত ইসলামের আন্দোলনে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের মামলায় খতমে নবুওয়াত আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও হেফাজত নেতা মুফতি নূর হোসাইন নূরানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, সম্প্রতি জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় হেফাজত ইসলামের আন্দোলনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল।
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে নূর হোসাইন নূরানীর সম্পৃক্ততার অভিযোগে গোয়েন্দা শাখার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সদর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানান ওসি আবু বকর সিদ্দিক।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে পুরাতন ও নতুন মামলায় হেফাজতে ইসলামের অন্তত ১৯ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী ও ঢাকা মহানগর নেতা মাওলানা সানাউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার গ্রেপ্তার হন হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির খুরশিদ আলম কাসেমী।
তার আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত রবিবার গ্রেপ্তার হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।