টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মত হারের লজ্জা দিল জিম্বাবুয়ে। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ১৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। ১৬তম মোকাবেলায় এসে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মত হারাল জিম্বাবুয়ে। সেই সাথে নয় ম্যাচ পর জিম্বাবুয়ে কোনো জয়ের দেখা পেল। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। প্রথম ম্যাচে ১১ রানে জিতেছিল সফরকারী পাকিস্তান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ভাল শুরু করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৯ রানে ফিরেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর (৫)। জিম্বাবুয়ের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ৮৩ রানের মধ্যে তারা ৫ উইকেট হারায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার তিনাশি কামুনহুকামউই। তার ৪০ বলের ইনিংসে ৪টি চার ছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে উইকেটরক্ষক রেজিস চাকাভার ব্যাটে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাসনাইন-দানিস আজিজ ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের ১১৯ রানের সহজ টার্গেটে ভাল শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। ৫৬ রানে তাদের ৩ উইকেট নেই হয়ে যায়। তবে অধিনায়ক বাবর আজম উইকেটে থাকায় পাকিস্তানের জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৭৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাবর আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। ৯৯ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান! অর্থাৎ ২১ রানে তাদের শেষ ৭ উইকেটের পতন ঘটে!
বাবর ৪৫ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া দানিশ আজিজ ২২ ও উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৩ রান করেন। দলের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা জিম্বাবুয়ের লুক জঙ্গি। ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৪ রানে অল-আউট হয়েছিল পাকিস্তান। যা এখনো টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন রানে অল-আউট হওয়ার রেকর্ড! আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।