কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে পৃথক ঘটনায় তিনজন ডাকাত ও একজন ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩ জুলাই) ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউল্লাহঘোনা নামক পাহাড় ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাপাড়া এলাকায় পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো, মো. জুনায়েদ (৩৬), আয়ুব (৩০), মেহেদী হাসান (৩৫) ও ইমরান (৩২)। এ সময় পুলিশের এএসপিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি দেশীয় তৈরি এলজি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস ইটিভি অনলাইনকে জানান, রাতে টেকনাফ উপজেলা নুরুল্লাহঘোনা পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার দুর্ধর্ষ পলাতক আসামি জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত, মোস্তাক ডাকাতসহ ১০/১৫ জন ডাকাত অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল এলোপাতাড়ি গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, ওসি প্রদীপ, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কং মেহেদী গুলি বিদ্ধ হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ,আয়ুব, মেহেদী হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া নামক স্হানে দুই ইয়াবাকারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ইমরান মোল্লা নামে এক ইয়াবা কারবারি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস আরও জানিয়েছেন, রাতে ওই স্থানে দুই ইয়াবাকারবারি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ সময় আহত অবস্থায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা গিয়ারকুল এলাকার মৃত জহিরুল মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর এলাকার মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ উপজেলার হাতিরঘোনা মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (২৭)।

এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।