সারাদেশের জেলায় জেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। চলছে কেনা-বেচা। হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় হয়ে উঠেছে মুখরিত।
শেষ সময়ে গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা। প্রাকৃতিক উপায়ে কোরবানির পশু পালনে রোগ প্রতিরোধের টিকা, পরামর্শসহ সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
ফরিদপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে বেচাকেনার ধুম। জেলার টেপাখোলা পশুর হাট ও আফজাল মন্ডলের পশুর হাট ছাড়াও ছোট বড় হাট-বাজারে ক্রেতারা ভিড় জমেছে। এসব হাটে সারাবছর পশু বেচা-কেনা হলেও, কোরবানীর ঈদে বাজারগুলো হয়ে ওঠে জমজমাট। সপ্তাহে দুই দিন হাট বসলেও ঈদকে সামনে রেখে এখন প্রতিদিনই বসছে। বিক্রিও চলছে বেশ ভাল।
ফরিদপুর ছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের জেলার ক্রেতা-বিক্রেতারা এসে গরু কেনাবেচা করে এই সব হাটে। এবারের হাটে দেশি গরুর কদর বেড়েছে। ভারতীয় কিংবা নেপালি গরুর আমদানি কম হওয়ায় খুশি খামারিরা।
জেলার সব পশুর হাটেই প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিক্যাল টিম কাজ করছে বলে জানালেন ফরিদপুর জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার নূরুল্লাহ্ মো. আহ্সান।
এদিকে কক্সবাজার জেলায় ছোট-বড় দেড় হাজার খামারে দেশিয় পদ্ধতিতে গরু লালন পালন করছেন খামারিরা। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু পালনে খামারিদের নিয়মিত সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ডা. মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম।
তবে, কক্সবাজার জেলায় এখনো জমে উঠেনি পশুর হাট। অনেকে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু আগাম কিনে রাখছেন। ভারতীয় ও মিয়ানমারের গরু আসা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে লোকসানের আশংকা করছেন খামারিরা। জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ১লাখ ৫ হাজার। আর মজুদ রয়েছে ১লাখ ৮ হাজারেরও বেশি।