পাঁচে পাঁচ হয়ে গেল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। পোর্তো আলেগ্রের স্তাদিও বেইরা রিওতে ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে সহজেই হারাল ব্রাজিল। দলের প্রাণভোমরা নেইমার পেনাল্টি থেকে এক গোল করার পাশাপাশি একটি করিয়েছেন রিচার্লিসনকে দিয়ে। লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই ব্রাজিল।

ব্রাজিলের জয়ের চেয়ে বেশি আলোচনা ছিল কোপা আমেরিকা নিয়ে। করোনা মহামারিতে আর্জেন্টিনার বদলে ব্রাজিলকে ভেন্যু করায় মারাকানা স্টেডিয়ামের বাইরে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছেন, ‘কোপা নয়, টিকা চাই।’ এরই প্রতিবাদে বাছাই পর্বের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসেননি অধিনায়ক কাসেমিরো। তবে ম্যাচ জয়ের পর আপাতত বিশ্বকাপেই মনোযোগ ধরে রাখার কথা জানালেন তিনি, ‘আমরা এখন মনোযোগ হারাতে চাই না। কারণ আমাদের কাছে এটা বিশ্বকাপ। কোপা আমেরিকা নিয়ে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে সবাই জানে। এর চেয়ে পরিষ্কারভাবে বলা তো সম্ভব ছিল না।’

ম্যাচের আগে গুঞ্জন ছড়ায়, দলের শীর্ষস্থানীয় তারকারা বয়কট করতে চান কোপা আমেরিকা। বিরোধিতা করেছিলেন উরুগুয়ের লুই সুয়ারেসও। মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আরো স্পষ্ট করে নিজেদের মতামত জানাতে চাইলেন কাসেমিরো, ‘ ঠিক সময়েই কথা বলব। আমরা নিজেদের মতামত জানাতে চাই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর। এখানে অনেক ব্যাপার আছে, যেগুলোকে সম্মান দেখাতে হবে। অনেক কিছুই ঘটেছে, তবে শ্রদ্ধা অটুট আছে।’ কোচ তিতের দায়িত্ব ছাড়ার গুঞ্জণও ছড়িয়েছে ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ায়। তিতেও অপেক্ষায় সঠিক সময়ের,‘ আমি ঠিক সময়েই সবকিছুর ব্যাখ্যা দিব। প্রশ্নটা থেকে পালাচ্ছি না, অপেক্ষা শুধু সঠিক সময়ের।’

শুরু থেকে খোলসে থাকা ইকুয়েডর লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি একটিও। ৪-৩-৩ ছকে শুরু করা ব্রাজিল গোল পেতে পারত ২০তম মিনিটে। ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া নেইমারের ফ্রি কিকে রিচার্লিসন পা ছোঁয়াতে না পারায় বাড়ে অপেক্ষা। ৪১ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল বারবোসা জালে বল পাঠালেও গোল হয়নি অফসাইডের কারণে। বিরতির পর ফ্রেডকে তুলে গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে মাঠে নামানোর পর ধার বাড়ে ব্রাজিলের আক্রমণের। ৬৫ মিনিটে নেইমারের পাস পেয়ে ডি বক্সের বাঁ প্রান্ত দিয়ে নেওয়া শটে লক্ষ্যভেদ রিচার্লিসনের।

ইনজুরি টাইমে আনহেলা প্রেসিয়াদো ডি বক্সে জেসুসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। নেইমারের দুর্বল শট প্রথমে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তবে শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় আবারও সুযোগ পান নেইমার। এবার আর ভুল করেননি তিনি। ব্রাজিলের জার্সিতে ১০৪ ম্যাচে নেইমারের গোল এখন ৬৫।