চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ বিলিয়ন (পাঁচ হাজার ৪শ কোটি) মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানিখাতে ৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার এবং সেবা রপ্তানিখাতে ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৮৫ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম রপ্তানির এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে সভায় তিনি রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এবার তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। যা গত বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৯১ বেশি।
গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৮৭৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানি ৩৯ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে প্রকৃত রপ্তানি হয়েছে ৪০ দশমিক ৫৩৫ বিলিয়ন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩ দশমিক ৯৪ ভাগ বেশি ছিল।
অপরদিকে গত বছর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৩৮ বিলিয়ন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৬ দশমিক ৭৭ ভাগ বেশি ছিল।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে, তা কঠিন কিছু না। রপ্তানিকারকরা আন্তরিক হলে অতিসহজেই এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত বছর রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তৈরি পোশাক খাতে ১১ দশমিক ৪৯ ভাগ, কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ৩৪ দশমিক ৯২ ভাগ, প্লাষ্টিক পণ্য রপ্তানিতে ২১ দশমিক ৬৫ ভাগ, ফার্মাসিটিকেলস পণ্য রপ্তানিতে ২৫ দশমিক ৬০ ভাগ। পণ্য রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন, ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. কামাল হোসেন এবং বিভিন্ন সেক্টরের রপ্তানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন।