চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের আপন বড় ভাই রেজাউল করিমের কাছ থেকে ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাতে নাতে ধরার পর তাকে তাৎক্ষণিক ১৫ দিনের সাজা দিয়ে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজলার বড়ঘোট বাজার থেকে রেজাউল করিমকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে হাতেনাতে পাওয়া ৮পিস ইয়াবা ও ২ পুরিয়া গাজা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ নিয়ে কুতুবদিয়া থানার ওসি ওমর হায়দার বলেন, ‘ উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরব সিকদার পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে রেজাউল করিমকে বড়ঘোপ বাজার থেকে ৮ পিস ইয়াবা ও ২ পুরিয়া গাজাসহ আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালতের সামনে হাজির করা হলে সে নিজেই তার দোষ স্বীকার করে। যার প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অপরাধে অভিযুক্ত রেজাউল করিমকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে থাকে। জানা যায়, উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরব সিকদার পাড়ার আবু তাহেরের চার ছেলে। তারমধ্যে রেজাউল করিম তিন নম্বর।
সবার ছোট ভাই চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। ইয়াবাসহ আটকের পরও রেজাউলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা না দিতে মাহমুদুল করিম প্রভাব বিস্তার করেন বলে অভিযোগ উঠে। যেটা মামলার পরিবর্তে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাত্র ১৫ দিনের সাজা প্রদানের মধ্য দিয়ে স্পষ্টতা পাওয়া যায় বলে এলাকায় গুঞ্জন চলছে। তবে এ বিষয়ে মাহমুদুল করিম অস্বীকার করে বলেন, আটককৃত ব্যাক্তি আমার ভাই ছিলেন না ।
মাহমুদুল করিম অস্বীকার করার পর বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি মেম্বারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার রেজাউল করিম ও ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম তারা আপন ভাই।’