মোঃ আবুল হাসেম শান্ত, কুমিল্লা বুড়িচং প্রতিনিধি:

৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের পর থেকেই প্রায় ২ যুগ শত চেষ্টা করেও মুজিবের নাম হৃদয় থেকে মুছতে পারেনি বাংলার মুজিব সৈনিকরা। 
শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত  প্রতিটি বাঙ্গালির মনে তার স্থান চিরস্থায়ী হয়ে আছে। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণ আজও বাঙ্গালির মনে চেতনা যোগায়। বঙ্গবন্ধু আজ নেই তবে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কিছু মুজিব সৈনিকেরা আজও তাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে যাচ্ছে। 
এরই একটি দৃষ্টান্ত হলো কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের মো: সেলিম। 

আসছে ১৫ই আগষ্ট। আর এই শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শোক বেদনা ও শ্রদ্ধা জানাতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের মো: সেলিম ৩ লাখ টাকা ব্যয় করে চারটি চেয়ার বানিয়ে নিজে না বসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার, শেখ রাসেল এবং শেখ রেহেনা এর ছবি রাখতে দেখা যায় এবং ছবি রাখার জন্য একটি ঘরও বানানো হয়। শুধু ঘর বানিয়ে থেমে যান নি। বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের তথ্যবলি, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযদ্ধাদের তথ্যাবলি, ভাষা ও ভাষা শহিদের তথ্যাবলি, দেশ ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের তথ্যাবলি, বিভিন্ন শিক্ষামূলক, বেকারত্ব দূরীকরণের তথ্যাবলি ও ইতিহাস জানাতে সেলিমের নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে শেখ রাসেল জাদুঘর পাঠশালা স্থাপন করেন।

তার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন। এর মধ্যে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুন হাসান সহ আওয়ামীলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা পরিদর্শন করেন । 

সকাল-বিকাল প্রতিদিন ৪টি ছবিকে খুব যতœসহকারে নিজ হাতে মুছেন। এই চেয়ার ৪টিতে আছে খোদাই করা নৌকার প্রতীক, জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় পতাকাসহ রয়েছে বিভিন্ন নকশা। মো: সেলিম কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনি জানান, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে নেই, কিন্তু তার আদর্শ এবং স্বপ্ন ঐতিহাসিক পরিকল্পনা সোনার বাংলা গড়ার বাস্তবায়নকারী সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন তার দ্বারাই এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শৈশব কাল থেকেই লালন পালন করে এতটুকু এসেছি এবং বাকি দিনগুলো তার আদর্শকে বুকে লালন পালন করে পার করে দিতে চাই। তিনি আরো জানান, ৪টি  চেয়ারের মধ্যে দুটি চেয়ার বানাতে ২মাস করে ৪ মাস সময় লেগেছে
এবং ৩ লক্ষ টাকার অধিক ব্যয় হয়েছে। এটা শুধু বঙ্গবন্ধুর প্রতি শোক প্রকাশ ও শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান মাত্র। তিনি এম.এ পাশ করেও চাকরীতে যোগদেননি। কারণ একটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সবার মাঝে তার মত করে ধারণ করার জন্য এলাকা থেকে অনুপ্রাণিত করছেন বলে তিনি জানান। সরজমিনে দেখা যায়, তার এই চেয়ার দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ দূর-দূড়ান্ত থেকে এসে দেখে যায় এবং কেউ মোবাইল ও ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে নেন। যে যার যার মত করে ফেসবুকে পোষ্ট করতেও দেখা যায় । তিনি গভীর শোক প্রকাশ করে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সকলে যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়। তিনি এসময় তার রাজনীতির গুরুত্ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।