নিজস্ব প্রতিবেদন

জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক কাজী ফয়েজ আহমেদ ও ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাজিদ মাহামুদ । আজ এক বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং বিশ^বিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, মতিঝিল, বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলা, গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং গত ২১ আগস্ট ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা অভি আজাদ চৌধুরী নাহিদের সন্ধান ও মুক্তি দাবী করেছেন।

বিবৃতিতে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, হামলা-মামলা-গুম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গতকাল ছাত্রলীগের কর্মীদেরকে উস্কানি দেয়ার পর আজকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, মতিঝিল, বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের বিক্ষোভে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলা, গ্রেফতার প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন দল সিদ্ধান্ত নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে। এর দায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেই নিতে হবে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে বিনা উস্কানিতে ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম, সজীব হোসেন শান্ত, সোহাগ মাহমুদ, মোঃ রায়হান, মেহেদী হাসান, মোঃ জোবায়েরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীর ৪০ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেন এখন পর্যন্ত নিখোঁজ। হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ছাত্রদল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমানসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-হামলা-সন্ত্রাস চালিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম দমন করা যাবে না। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।

বিবৃতিতে জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন , ঢাকা মহানগর পূর্ব এর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অভি আজাদ চৌধুরী নাহিদকে গত ২১ আগস্ট ২০২১ তারিখে খিলগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং এখনও পর্যন্ত তার কোন খোঁজ না পাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন-বর্তমান সরকারের মদদেই এখনও বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।

অভি আজাদ চৌধুরী নাহিদকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক তুলে নিয়ে যাওয়ার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তার কোন হদিস না পাওয়া খুবই রহস্যজনক। গুম-খুনের বিরাজমান পরিস্থিতিতে মানুষ দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত, অশান্তি ও গভীর শংকার মধ্যে দিন যাপন করছে। এই ছাত্রদল নেতা নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তার পরিবার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা অবিলম্বে তাকে প্রকাশ্যে উপস্থিত করার এবং মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।”

বার্তা প্রেরক
তানভীর পারভেজ অনিক
সদস্য
কার্যনির্বাহী কমিটি