নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু দলীয় ২৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার লিটন দাস। কোল ম্যাকনকির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
ওয়ানডাউনে নেমে মেহেদী হাসানও টিকতে পারেননি। মাত্র ১ রান করেই এজাজ প্যাটেলের বলে হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর সাকিব নেমে প্রথম বলেই দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দেন। তিনিও প্যাটেলের শিকার
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯.৩ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪৩ রান। ব্যক্তিগত ৮ রানে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। ওপেনার নাইম শেখ ১৩ রান করে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন। রচিন রবীন্দ্রের বলে বোল্ড হন তিনি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রান করেছে সফরকারীরা। কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন হেনরি নিকোলস। ৩০ রান করেন টম ব্লান্ডেল। শেষ দিকে এই দু’জনে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি গড়েছেন। তাদের কল্যানেই লড়াই করার পুঁজি সংগ্রহ করতে পেরেছে তারা।
এছাড়া উইল ইয়াং ও রচিন রবীন্দ্র করেন ২০ রান এবং ফিন অ্যালেন ১৫ রান। বাকিরা বলার মত কিছু করতে পারেননি
টাইগার বোলারদের মধ্যে শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের দলীয় ১৬ রানের মাথায় আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হতে থাকা ফিন অ্যালেন’কে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন তিনি। সহজ ক্যাচ ধরেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
পরে কিউইদের দলীয় ৪৬ রানের মাথায় জোড়া আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। এক বলের ব্যবধানে উইল ইয়াং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম’কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৫৮ রানের মাথায় আঘাত হেনেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার শিকার রচিন রবীন্দ্র। তিনি ব্যক্তিগত ২০ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন।
কিউইদের ৬২ রানের মাথায় আঘাত হেনেছেন স্পিনার মেহেদী হাসান। তিনি টম ল্যাথা ‘কে কট এন্ড বোল্ড করেন।
জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ১২৯ রান। এটা করতে পারলেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে যাবে টাইগাররা।