নিজস্ব প্রতিবেদক
মো.আরিফ মাইনুদ্দিন (৪৩)। রাজধানী ঢাকায় ম্যারেজ ডটকম নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। আরিফ একটি বেসরকারি কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি আগে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি করতেন। সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ডিজিটাল বেইজড এসব অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। আরিফ এমন প্রতারণা গত আট থেকে নয় মাস ধরে করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসামি একটি মোবাইল নম্বরে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইজিপির ছবি ও পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন দপ্তর, বাণিজ্যিক ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করে নিজেকে আইজিপি হিসেবে পরিচয় দিতেন। এসব অপকর্মে তিনি (আসামি) ০১৯২৬৪৫০৬০৯ নম্বরের একটি সিমকার্ড ব্যবহার করতেন।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নামে জিমেইল, ট্রু-কলার, আইকন ও হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলে ফোন করতেন বিত্তশালীদের ও বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে। কারও কাছে চাইতেন টাকা, কাউকে করতেন ব্যাংকে চাকরির সুপারিশ। অবশেষে সিআইডির হাতে ধরা পড়েছেন সে প্রতারক। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঝিগাতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ইমাম হোসেন বলেন, গ্রেফতার আরিফ তার কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমকার্ড কিনে প্রতারণা করেন। সম্প্রতি আইজিপি অফিস থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তিনি (আরিফ) বিভিন্ন ব্যাংকে ফোন করে চাকরির সুপারিশ এবং টাকা চাইতেন। তবে এপর্যন্ত কারও কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারেননি।