আইপিএলে তাঁঁর অভিষেক রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আগের ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের যে সারমর্ম, দ্রুত রান তোলা সেটা অভিষেকেই বুঝিয়ে দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আজ তা টের পেলেন যশপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম মিলনেরা।
আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠির ফিফটিতে আবু ধাবিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসেকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বাইয়ের ৬ উইকেটে ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ২৯ বল হাতে রেখে জিতেছে কলকাতা। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল এউইন মরগানের দল।
৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এল কলকাতা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে মুম্বাই।
মুম্বাই পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে দর্শনীয় ‘ফ্লিক’-এ ছক্কা মেরে দারুণ শুরু করেন কলকাতা ওপেনার শুবমান গিল। কিন্তু পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তুলতে বাকিটা সেরেছেন আইয়ার।
তৃতীয় ওভারে গিল যখন যশপ্রীত বুমরার স্লোয়ার বুঝতে না পেরে বোল্ড হলেন স্কোরবোর্ডে ৪০। মিলনে, বোল্ট ও বুমরাকে উইকেটের চারপাশে দারুণ টাইমিংয়ে খেলে চার-ছক্কা তুলে নেন আইয়ার।
রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তাঁর ৫২ বলে ৮৮ রানের জুটি কলকাতার জয়ের ভিত গড়েছে।
৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৩০ বলে ৫৩ করে আইয়ার যখন আউট হলেন জয় থেকে ৫০ বলে ২৮ রানের দূরত্বে কলকাতা। অধিনায়ক মরগান ৭ রান করে আউট হন। নীতিশ রানাকে নিয়ে বাকি পথ পারি দেন ত্রিপাঠি।
তিনে নেমে দারুণ ব্যাট করেছেন তিনি। মুম্বাইয়ের বোলারদের চড়াও হতে দেননি। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ৪২ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ত্রিপাঠি। মুম্বাইয়ের হয়ে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন বুমরা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল মুম্বাই। ৯.২ ওভারে ৭৮ রান তোলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪২ বলে ৫৫ রানে আউট হন ডি কক।
রোহিতের ব্যাট আজ একটু শান্ত ছিল। ৪ চারে ৩০ বলে ৩৩ রানেন আউট হন মুম্বাই অধিনায়ক। ওপেনারদের জুটি ভাঙার পর মাঝে আর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি মুম্বাই।
কাইরন পোলার্ড ১৫টি বল খেললেও শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেননি। ২১ রানে আউট হন তিনি। কলকাতার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃঞ্চা ও লকি ফার্গূসন। ২০ রানে ১ উইকেট সুনিল নারাইনের।