বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক। মহাসচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন দীপ আজাদ। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আজমল হক হেলাল । যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মামুনুর রশীদ গতকাল শনিবার রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ফলাফল ঘোষণা করে।
ওমর ফারুক পেয়েছেন ৬৭৪ ভোট। আর দীপ আজাদ পেয়েছেন ৯২৬ ভোট। এই নির্বাচনে ভোটারসংখ্যা ছিল তিন হাজার ১৮০। ভোট পড়েছে এক হাজার ৬০৩টি।
সভাপতি পদে ওমর ফারুকের নিকটতম প্রার্থী আবু জাফর সূর্য পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট। মহাসচিব পদে দীপ আজাদের নিকটতম প্রার্থী আবদুল মজিদ পেয়েছেন ২৯০ ভোট।
সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আজমল হক হেলাল। তিনি পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মধুসূদন মণ্ডল পেয়েছেন ৩৮৭ ভোট।
যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মামুনুর রশীদ
কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন খায়রুজ্জামান কামাল ৫৭৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল কবির পেয়েছেন ৪৬১ ভোট। দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেবীকা রানী। তিনি পেয়েছেন ৬০৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম শাহজাহান পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।
সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন উম্মুল ওয়ারা সুইটি। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ২২ ভোট। এ ছাড়া ড. উত্পল কুমার সরকার পেয়েছেন ৬৫১ ভোট, নূরে জান্নাত আখতার সীমা পেয়েছেন ৬৪০ ভোট এবং শেখ নাজমুল হক সৈকত পেয়েছেন ৬০৪ ভোট।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গ্রহণ করা হয় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। এবারের নির্বাচনে সভাপতি, সহসভাপতি, মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর সম্পাদক ও নির্বাহী পরিষদের ১০টি পদে মোট ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন পরিচালনা করে ছয় সদস্যের কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন শাহজাহান সরদার। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রফিকুল ইসলাম, আশিস সৈকত, মহসিন আব্বাস ও শাহনাজ সিদ্দীকি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও নারায়ণগঞ্জে ১০টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটারসংখ্যা তিন হাজার ১৮০। এর মধ্যে দুই হাজার ৯৭৭ জন ঢাকার। ঢাকায় ১৯টি বুথে ভোট নেওয়া হয়।
নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম অধিদপ্তর থেকে ঢাকার কেন্দ্রের জন্য দুজন এবং ঢাকার বাইরের কেন্দ্রের জন্য একজন করে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার ভোটগণনা প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়।