শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের তারিখ তিনদিন পেছানোর সিন্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ন কবীর খোন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওই দিন এইচএসসি পরীক্ষা থাকার কারণে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের তারিখে এ পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী ২ ডিসেম্বর দেশে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণের দিন ২৩ ডিসেম্বর সকালে ও বিকালে পরীক্ষার সিডিউল রয়েছে। ওই দিন সকালে ভূগোল দ্বিতীয়পত্র এবং বিকালে আরবি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের দিনও সকালে ও বিকালে এ দুটি বিষয়ের প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষার দিনে ভোটগ্রহণের তারিখের বিষয়টি নজরে এলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে কথা বলেন। দেড় বছর পরে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়টির প্রসঙ্গ টেনে তিনি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করেন।
এছাড়া ডিসেম্বরে আরেকটি ধাপের ইউপি নির্বাচনের পরিকল্পনা করলেও সেটার চিন্তা বাদ দিয়ে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে ভোটের শিডিউল দিতে সোমবার কমিশন সভা ডাকা হলেও তা ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এস এম আমিরুল ইসলাম জানান, এইচএসসি পরীক্ষার দিনে ইউনিয়ন পরিষদ ভোটের তারিখের বিষয় নজরে আসার পর শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যতদূর জানি পরীক্ষার তারিখ পেছাবে না। উনারা নির্বাচন কমিশন সমন্বয় করে ভোটের তারিখ পরিবর্তন করবে।’
নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর জানান, নির্বাচন কমিশন ২৩ ডিসেম্বরের ভোটের দিনটি পরিবর্তন করেছে। এ ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ ২৩ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর আমাদের হাতে যেহেতু সময় রয়েছে, তাতে ভোটের তারিখ পেছালে কোনও সমস্যা হবে না।
নির্বাচন কমিশন চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গ্রহেণর জন্য গত ১০ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করেছিল।