অনলাইন নিউজ

বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। স্বজন হারানোর তীব্র বেদনা আর রক্তাক্ত-কন্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে শক্ত হাতে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল, বলছেন রাজনীতিবিদরা। বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দলকে করেছেন শক্তিশালী, এগিয়ে নিচ্ছেন দেশকে।

বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়েছেন যিনি, বিশ্বসভায় মর্যাদার সাথে উচ্চারিত হয় তার নাম। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

তার জন্ম টুঙ্গিপাড়ায়, ১৯৪৭ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর। দাদা নাম রাখেন হাসিনা। বাবা ডাকতেন হাচুমনি। বঙ্গবন্ধুর সেই ছোট্ট মেয়েই আজ দেশবাসীর প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা।

তবে, বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনের পথচলা সহজ ছিল না। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট ছোটবোন শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ৬ বছর ভারতে নির্বাসনে থাকতে হয়। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দেশে ফেরেন।

মা ফজিলাতুননেছার ছায়াসঙ্গী হয়ে বাবার রাজনৈতিক জীবন দেখেছেন খুব কাছ থেকে। তার কাছে শিখেছেন মূল্যবোধ। ছাত্র-জীবনেই সক্রিয় হন বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্রলীগ থেকে হন ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি। ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার।

বাবার মতোই অসীম সাহস, দৃঢ়তা, দেশপ্রেম, মানবিকতা ও আদর্শবাদী নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার মূল্যায়ন করছেন রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।

শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ কমপক্ষে ১৯ বার আক্রমণ হয়েছে। তবে, শত্রুর সব চেষ্টাকে বিফল করেই দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।