মোহাম্মদ আলী আশরাফ উদ্দিন , সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

এখন থামেনাই পরিবহন নৈরাজ্য ঈদ শেষ হয়েছে আট দিন কিন্তু এখনও পরিবহনেরর বাড়তি ভাড়া নেওয়া স্বাভাবিক হয় নি। ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সোমবার রাতে ঘুরে দেখা যায় যাত্রিদের কাছ থেকে প্রতি টিকিট থেকে ১৫০-৪৫০টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বাস মালিকরা। যদিও এই টামিনালে রেবের একটি অস্থাহী ক্যাম্প বসানো আছে। কিন্তু সেখানে ব্যানার ও চেয়ার টেবিল ছাড়া রেব সদস্যদের পাওয়া যায় নি।

এই সুযোগে বাস মালিকরা তাদের ইচ্ছা মতো যাত্রিদের কাচ থেকে ভাড়া নিচ্ছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ঝিনাইদহ থেকে ঢাকা গামি প্রতিটি বাস ননএসি গাড়িতে সাড়ে ৪৫০টাকার ভাড়া ৫৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। আর এসি বাসগুলোর ৭০০ ভাড়া নিচ্ছেন এবং ১০০০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১৪০০টাকা। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় যাওয়া শিমুল নামের এক যাত্রি এই প্রতিবেদকে খোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদের আগে ও ঈদের দুদিন পরে বেশি ভাড়া নেয় ঠিক আছে। কিন্তু ঈদের আজ আট দিন পার হয়ে গেছে এখনও যদি ৪৫০ টাকার ভাড়া ৬০০ টাকা নেয় তা হলে আমরা কি ভাবে চলবো। অন্য আর এ যাত্রি তানিশার কাছ থেকে জানা যায় ঢাকাতে যাওয়ার জন্য এসি বাসের টিকিট কেঠেছে কিন্তু তার অভিযোগ ১০০০টাকার ভাড়া ১৪০০ টাকা নিয়েছে।

শুধু ঢাকার যাত্রিদের কাছ থেকেই নয় বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়াসহ অন্যান্য অঞ্চলের যাত্রিদের কাছথেকেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাইভেট কোম্পাতিনে চাকরি করে হারুনুর রসিদ। সে তার কম্পানির কাজে বরিশালে যাচ্ছেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কি আর বলবো ভাই ৩৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা নিচ্ছে। কিন্তু কম্পানি তো আমাকে বরিশালে আশা যাওয়ার বাস ভাড়া বাবদ ৭০০টাকা দিয়েছে। যাওয়ার বাস ভাড়া নিলো ৫০০ টাকা।

অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা তো আমার পকেট থেকেই গুনতে হবে কোম্পানি তো আর এ গুলো বুজবে না। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বিষয়ে বাস কাউন্টারের লোকজনদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এমুহুূতে ঢাকা থেকে বাস খালি আসে যারজন্য কিছু ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। এছাড়া বাস মালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমাদের কিছু করার নেই