এক সপ্তাহ আগেই লিগ কাপের শিরোপা জিতেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০১৭ সালের পর এটি ছিল তাদের প্রথম কোনো শিরোপা। কিন্তু আজকে ইউনাইটেডকে মাঠে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ম্যাচের ৪৩ মিনিট পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলেছে লিভারপুলের চোখে চোখ রেখেই। এগিয়েও যেতে পারত তারা। কাসেমিরো লিভারপুলের জালে বলও ফেলেছিলেন কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
ইউনাইটেডের গোল বাতিল হওয়ার পরপরই গাকপো আঘাত হানেন। সেটি ছিল ইউনাইটেডের পোস্টে লিভারপুলের প্রথম শট। ১-০ গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পরও কেউই ভাবতে পারেননি এই ম্যাচে কত বড় বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় লিভারপুলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন নুনিয়েজ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রক্ষণের দুর্বলতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এর পরপরই ইউনাইটেড রক্ষণকে হাস্যকর অবস্থায় ফেলে মোহাম্মদ সালাহর পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে লিভারপুলকে ৩-০-তে এগিয়ে দেন গাকপো।
৬৬ মিনিটে গোলের তালিকায় নাম লেখার সালাহ (৪-০)। ৭৫ মিনিটে নুনিয়েজ হেড করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন ৫-০ গোলে। সালাহ ইউনাইটেডকে আরও বড় লজ্জায় ফেলে নিজের দ্বিতীয় ও দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন ৮৩ মিনিটে। এটি প্রিমিয়ার লিগে সালাহর ১২৮তম গোল। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লিভারপুলকে ৭-০ গোলে এগিয়ে দেন ফিরমিনো। গত বছর এপ্রিলে এই অ্যানফিল্ডেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু এই এক বছরে লিভারপুলের পারফরম্যান্স যেভাবে ক্রমশ বাজে হয়েছে, তাতে আজকের ম্যাচের স্কোরলাইন ফুটবল দর্শকদের কাছে বড় ধরনের চমকই।
এই হারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৫ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্টেই আটকে থাকল। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা পিছিয়ে ১৪ পয়েন্টে। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৪২। তারা এই মুহূর্তে পঞ্চম স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহামের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৩। লিভারপুল শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করার স্বপ্ন এখন দেখতেই পারে।