স্টাফ রিপোর্টার:
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন আজ ১৮ মার্চ নির্ধান হলেও সম্মেলন স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। জানাযায়, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব ফেরদৌস রহমান রূপকের সঙ্গে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা না করে শুধু আহ্বায়ককের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি সদস্য সচিব জানতে পেরে গত (১২মার্চ)২০২৩ তারিখে কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি দরখাস্ত প্রদান করেন। তারই প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চের সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ফেরদৌস রহমান রূপক। সম্মেলন স্থগিত করায় কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব ফেরদৌস রহমান রূপক ও জেলার নেতৃবৃন্দ। দরখাস্তে ফেরদৌস রহমান রূপক উল্লেখ করেন- ‘আগামী ১৮ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনের দিন ধার্য করেছেন যা আমাদের উক্ত তারিখে জেলা সম্মেলন করা সম্ভব না। কেননা, আমরা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি এখনও সম্মেলন করার মতো পরিবেশ তৈরি করতে পারি নাই। আমাদের জেলায় মোট ১টি পুর্নাঙ্গ কমিটি ও ৫টি উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা কমিটিই তাদের যৌক্তিক নানান সমস্যা আমাদের নিকট তুলে ধরেন এবং তারা সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন চান।
এদিকে জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও একজন যুগ্ম আহ্বায়কের স্বাক্ষরে কয়েকটি উপজেলা/থানা/পৌরসভায় নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক গোলমালের সৃস্টি হয়েছে। যার ফলে সম্মেলনে কাউন্সিলর/ডেলিগেটের উপস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং দলের ভিতরে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রাকশ করছি। তাই আমাদের জেলা সম্মেলন ১৮ মার্চ ২০২৩ এর পরিবর্তে সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং মাসের যে কোন দিন ধার্য করার জ¬ন্য জোর অনুরোধ করছি। আমরা সেপ্টেম্বর ২০২৩ এর মধ্যে জেলা কমিটির সকল সমস্যা সমাধান করে একটি জাকজমকপূর্ণ সম্মেলন উপহার দিতে পারবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ফেরদৌস রহমান রূপক বলেন- ‘সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি শুধু সম্মেলনকে সফল করার জন্য কাজ করবে এটাই গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট। কিন্তু জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম স্বপন সরকার গঠনতন্ত্র অমান্য করে তিনি ও যুগ্ম আহ্বায়কের স্বাক্ষরে পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি দিয়ে যাচ্ছেন। আমি বারবার বিষয়টি আমার আহ্বায়ককে বললেও তিনি আমার কোন কথা কর্ণপাত না করে বৈধ কমিটি থাকতেও নিজের পছন্দমতো অবৈধভাবে কমিটি দিয়েই যাচ্ছে। অথচ জেলায় মোট ৬টি উপজেলায় বৈধ কমিটি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন- ‘ বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের গঠনন্ত্র অনুযায়ী সংগঠন চলতে হবে। আমি বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিভাগ সাংগঠনিক টিমের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে প্রতিনিয়ত মৌখিকভাবে বলে আসলেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে জ্ঞাত না করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা দেয়। এতে করে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সঠনতন্ত্রকেও কলঙ্কিত করা হয়েছে আমি বলবো। পরবর্তীতে আমি গত (১২ মার্চ)২০২৩ তারিখে নিজে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানাই। তারই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটি শরীয়তপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের নির্ধারিত ১৮ মার্চ তারিখের সম্মেলন স্থগিত করেছেন এবং পরবর্তীতে সম্মেলনের তারিখ আমার মাধ্যমে জেলা কমিটিকে জানাবেন বলেছেন আমার নেতা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর। শরীয়তপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন স্থগিত করায়, আমি ও আমার জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’