কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামী বলে দাবি পুলিশের। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু উপজেলার রাসিদং এলাকার বাসিন্দা ছব্বির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ শাহ ও একই উপজেলার শীলখালী এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আবদু শুক্কুর। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে পালিয়ে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প বসবাস করেছিলেন।
ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরী ২টি এলজি বন্দুক, ৯ রাউন্ড গুলি, ১২ রাউন্ড গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। বন্দুযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, টেকনাফের হ্নীলার যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জামিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুইজন উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুইটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আনার সময় বিজিবির সঙ্গে `বন্দুকযুদ্ধে` দুই রোহিঙ্গা নিহত হন।