বাংলাদেশ সরকার বৃহস্পতিবার আরো প্রায় ৩১০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বাড়াতে বিশ্বব্যাংকের সাথে ১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই বিদ্যুৎ উৎপাদনটি হবে নির্ভরযোগ্য, ব্যয় সাশ্রয়ী ও দেশের পরিবেশের জন্য দূষণমুক্ত।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)’র সচিব মনোয়ার আহমেদ ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভূটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দানদান চেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি বৃদ্ধি প্রকল্প শীর্ষক এই ঋণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই চুক্তির মধ্যে রয়েছে ২৬.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং বিশ্বব্যাংকের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডস (সিআইএফ) এর স্ট্র্যাটেজিক ক্লাইমেট ফান্ড (এসসিএফ) এর ২.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী (আইডিএ) ৩০ বছর মেয়াদে এই ঋণ প্রদান করবে। এই ঋণে ৫ বছরের রেয়াত সুবিধা রয়েছে এবং এর সুদের হার ১.২৫ শতাংশ ও সার্ভিস চার্জ ০.৭৫ শতাংশ।
এসসিএফ ঋণের মোট মেয়াদ ৪০ বছর। এর মধ্যে রেয়াত ১০ বছর এবং এই ঋণের সার্ভিস চার্জ ০.১ শতাংশ।
প্রকল্পটি বেসরকারি বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করতে সহায়তা করবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বেসরকারি খাত, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং অন্যান্য উৎস থেকে অর্থায়নকে ২১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদনের জন্য এই প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়াও এটা বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়তা করবে, যা দেশের জাতীয় নীতি অনুযায়ী প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’