অনলাইন 

বিশ্বকাপের মাঝামাঝি থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবস্থা করুণ। আট নম্বর দল হয়ে বিশ্বকাপ শুরুর পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়া এবং সর্বশেষ আফগানিস্তানের কাছে দেশের মাটিতে টেস্ট হেরে বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন ক্রান্তিকাল পার করছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন একটি জয়। আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেই সুযোগটা পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুই প্রতিপক্ষ কাগজে কলমে দুর্বল হলেও বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী বটে!

ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শক্তি, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে অবস্থা একেবারেই নাজুক। আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জাও জুটেছে কপালে। এসব খবর অজানা নয় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। গতকাল ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচে মুশফিকুর রহিম-সাব্বির রহমান-সাইফউদ্দিনকে নিয়ে গড়া বিসিবি একাদশের বিপক্ষে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। আজ সিরিজ শুরুর আগের দিন তাই মাসাকাদজা বাংলাদেশকে প্রছন্ন হুমকিই দিয়ে রাখলেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে মোটেও অজেয় ভাবছে না জিম্বাবুয়ে!

মাসাকাদজা বলেছেন, ‘হ্যাঁ টি-টোয়েন্টিতে অসম্ভব নয়।  সংস্করণ যত ছোট হয় দলগুলোর ব্যবধান ততই কমে আসে। টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন যে কেউ একাই ম্যাচ টেনে নিতে পারে, ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এই রকম খেলোয়াড় আপনার দু-তিনজন দরকার যে কিনা একাই খেলাটা আপনার দিকে এনে দিতে পারে। আমরা পিছিয়ে থেকে শুরু করছি না। আমরা এখানে বেশ কয়েকটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি। কন্ডিশন সম্পর্কেও জানি। আমরা পিছিয়ে থেকে শুরু করছি না।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল সাড়ে তিন বছর আগে—২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। ওই সিরিজে দুই ম্যাচ হেরে ২-২ সমতায় শেষ করে চন্দিকা হাথুরুসিংহের বাংলাদেশ। দুই দলের ৯ লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছে ৫টিতে আর জিম্বাবুয়ে জিতেছে ৪টি ম্যাচ। এবার জিম্বাবুয়ে দল আছেন ব্রেন্ডন টেলর, শন উইলিয়াস, মাসাকাদজার মতো ক্রিকেটাররা। তাছাড়া বাংলাদেশের চেনা কন্ডিশন তাদের বিপদে ফেলতে পারবে না। সব মিলিয়ে সাকিবদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ।