বিশ্বকাপ থেকেই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না সাকিব-মুশফিকরা। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারতে হারতে জয় পেলেও টাইগাররা দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই পেয়েছে হারের তিক্ত স্বাদ। দলের এমন অবস্থায় অধিনায়কত্ব উপভোগ করছেন না টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গণমাধ্যমে সাকিব এটা স্পষ্ট করেই বলেছেন।

কিন্তু সাকিব এটাও মনে করেন তিনি ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের হাল ধরার মতো কেউ নেই। তবুও আলোচনায় উঠে এসেছে সাকিবের অবর্তমানে কে হতে পারেন অধিনায়ক। আলোচনায়-ভাবনায় আছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা থাকা মোসাদ্দেক হোসেন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এই তরুণ ক্রিকেটার। এখানেই অধিনায়কত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি।

দলের নেতৃত্ব নিয়ে কিছু ভাবছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আসলে বর্তমান অবস্থায় তো ওভাবে চিন্তা করছি না আসলে কী হবে, কী হবে না। ম্যানেজমেন্টে যারা আছে তারাই খুব ভালো বলতে পারবে। টিমে অবদানের কথা যদি বলেন, সবাই পারফর্ম করা শুরু করেছে এবং চেষ্টা করছে অবদান রাখার। আমি মনে করি আমার জায়গা থেকে আমি চেষ্টা করব আমি কতটুকু অবদান রাখতে পারতেছি। এখন আমি এটার ওপর ফোকাস করছি।‘

অধিনায়কত্ব নিয়ে আর বেশিকিছু বলতে চাননি এই ডানহাতি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। আগামীকাল বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। মোসাদ্দকের ভাবনায় শুধু এখন এই ম্যাচটি। তিনি মনে করেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প নেই।

মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমাদের একটা মোমেন্টাম জরুরি। একটা ম্যাচ জেতা আসলে দরকার। আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি এবং একটা ম্যাচ হেরে গেছি। পরবর্তী ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জেতার জন্যই খেলব। শতভাগ অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেটটাই খেলব।‘

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটা কথা প্রথমেই বলেছি আফগানিস্তানের সঙ্গে বিষয়টা হয় কি ওদের স্পিনার নিয়ে সবসময় কথাটা উঠে আসে বেশি। যদি দেখেন আমরা ম্যাচ হারতেছি ২০ রানে ১৫ রানে- এই জায়গাতে আমরা হারতেছি। ওদের যে স্পিনাররা আছে আমরা যদি আরেকটু ক্যালকুলেটিভ খেলি বা আরেকটু…যে ভুলগুলো করছি তা আরেকটু মিনিমাইজ করি…আমার মনে হয় সবজায়গাতেই আমরা ঠিক আছি…টি-টোয়েন্টিতে ১৬০ রান হবে এটাই স্বাভাবিক, সেখানে হয়ত আমরা ১৪৫ বা ১৫০ করতেছি। যে জায়গায় হয়ত আমরা একটু বেশি তাড়াহুড়ার করতেছি সে জায়গায় তাড়াতাড়ি ভুল মিনিমাইজ করে তাহলে আমাদের ম্যাচ জেতার পারসেনটেজ বেড়ে যাবে