অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো উপমহাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই একটু খুঁতখুঁতে। একটু খানি ছুঁতো পেলেই তারা সফর বাতিল করতে দ্বিতীয়বার ভাবে না। তবে পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য স্বস্তির এক খবর। এই অস্ট্রেলিয়ায় এবার পাকিস্তান সফরে যেতে আগ্রহী।
দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না পাকিস্তান। তবে ছোট কয়েকটা দলকে রাজি করালেও বড় দলগুলোকে নিয়মিত সেখানে খেলানোর ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তারপরও চেষ্টা অব্যহত আছে।
সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা। যদিও এই সিরিজও পড়েছে ঝড় -ঝঞ্ঝার কবলে। শ্রীলঙ্কার নিয়মিত দুই অধিনায়কসহ ১০ জন ক্রিকেটার সফরে যেতে আপত্তি জানিয়েছে। ফলে বলতে গেলে ‘বি’ টিম নিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে লঙ্কানরা।
উপমহাদেশের দল শ্রীলঙ্কাই যদি এমনভাবে বেঁকে বসে, তবে বাইরের দলগুলোর নিরাপত্তা শঙ্কা তো আরও বেশিই থাকার কথা। তবে সেটা যেন নেই অস্ট্রেলিয়ার। চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তান সফর করে আশ্বস্ত হয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস। দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে না বড় দলগুলো। আর অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ খেলতে গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। যদিও ২০১৭ সালে বিশ্ব একাদশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন।
অস্ট্রেলিয়ার সিডিউলে পাকিস্তান সফর আছে আবারও ২০২২ সালে। ওত পরের সিরিজ নিয়েই দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি নজরে রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোনো প্রধান নির্বাহী পাকিস্তানে গেছেন। তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্ট।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী রবার্টস বলেন, ‘সবকিছু ঠিকভাবেই চলছে। আমরা সসস্ত্র নিরাপত্তাব্যবস্থায় গাড়িতে চলাচল করেছি, যেটি পুলিশি বেস্টনিতেই ছিল। এই ধরনের নিরাপত্তা আসলেই দরকার। আশা করছি আমরা আবারও খেলতে যাব। বিশ্ব ক্রিকেটের স্বার্থেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও চাই সে দেশে ক্রিকেট ফিরুক।’
যদিও একটা ‘কিন্তু’ রেখে দিয়েছেন তিনি। রবার্টস যোগ করেন, ‘তবে আমাদের মানুষদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা কোনো ধরনের ঝামেলায় যেতে রাজি নই। আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতোই সব সিদ্ধান্ত নেব। হাতে আরও কয়েক বছর আছে। আশা করছি, তাড়াহুড়ো না করে সতর্কতার সঙ্গেই এগুব আমরা।’