দেখতে দেখতে সময় বয়ে যাচ্ছে দ্রুত। সেপ্টেম্বর গড়িয়ে অক্টোবর চলে আসলো বলে। অক্টোবরের মাঝামাঝি প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।
তা কিভাবে হবে? শেষ পর্যন্ত বিপিএলের রুপরেখা কি হবে? আদৌ কোন স্পন্সর পার্টনার থাকবে কি না? থাকলে তারা কারা? আগের সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ কি থাকবেন এবারের আসরের স্পন্সর পার্টনার হিসেবে? বিসিবি কোন রূপরেখায় এবারের বিপিএল চালাবে? বোর্ডের ভূমিকা কি থাকবে? দল গঠন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা, কোচ নিয়োগ সবই কি বিসিবি ঠিক করে দেবে? নাকি যারা স্পন্সর পার্টনার হবেন, তাদের হাতেও কিছু দায়-দায়িত্ব থাকবে? ঘুরিয়ে বললে পার্টনার হিসেবে যারা থাকবেন, তাদের ভুমিকাটিই বা কি হবে?
নানা কৌতুহলি প্রশ্ন। গুঞ্জন। এর কোনোটাই এখনো পরিষ্কার নয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোর্ডের অভ্যন্তরে বা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের শীর্ষ কর্তারাও ঠিক জানেন না, আসলে কি হবে?
শুধু এইটুকু জানা, এবারের বিপিএল আর আগের মত হবে না। আগে যেমন ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই শেষ কথা। ক্রিকেটার, কোচ নিয়োগ, অর্থায়ন, ব্র্যান্ডিং- সবই করতেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এবার আর তা হবে না। আসর হবে জাতির পিতা, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। বিসিবি শুধু আয়োজক- ব্যবস্থাপকই থাকবে না। পাশাপাশি নিজ গরজ ও খরচে দলও চালাবে। অর্থ্যাৎ, কোনো ফ্রাঞ্চাইজিই থাকবে না।
কিন্তু আসলে কার্যক্ষেত্রে বিসিবির ভূমিকা কি হবে? ফ্র্যাঞ্চাইজি বা স্পন্সর পার্টনার হিসেবে আদৌ কাউকে রাখা হবে কি না? থাকলেও তারা ঠিক কিভাবে থাকবে? তাদের ভূমিকা এবং ক্ষমতাই বা থাকবে কতটা?
এসব এখনো অজ্ঞাত। তবে বোর্ডের উচ্চ পর্যায় তথা বিপিএল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দু’এক দিনের মধ্যে না হলেও চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) মধ্যেই এখনকার ধোঁয়াটে অবস্থার অবসান ঘটবে।
সেপ্টেম্বরেই নাকি সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কারণ, নাম, নিয়ম কানুন ও মালিকানা রদবদল হলেও একদম নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে শুরু করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং মাঠে গড়ানোর দিনক্ষণ সবই ঠিক থাকবে।
অক্টোবরের মাঝামাঝি প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিতক হবে। আর ৩ থেকে ৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ৬ ডিসেম্বর আসর শুরুর দিনক্ষণ প্রায় চূড়ান্ত।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই জানা যাবে, আসলে কেউ এবার বিপিএলের দলগুলোর স্পন্সর পার্টনার হবেন কি না? মানে বোর্ড কাউকে স্পন্সর পার্টনার করবে কিনা? করলে কাদের করবে? তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং পরিসীমা কতটা বিস্তৃত থাকবে, তারা কি কি করতে পারবে? নাকি শুধু অর্থ সরবরাহই তাদের কাজ হবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে অন্তত আরও দিন দশেক অপেক্ষায় থাকতে হবে। বোর্ড এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের একাধিক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, বোর্ড এরই মধ্যে আগ্রহী ও উৎসাহী- স্পন্সর পার্টনারের খোঁজে। আগ্রহী স্পন্সর পার্টনার হওয়ার আবেদনের কথা জানিয়ে বোর্ড ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সেই আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন।
ওই তারিখের মধ্যে যে বা যারা উৎসাহী হবে, তাদের নামই বোর্ডে লিপিবদ্ধ হবে। জানা গেছে বোর্ড থেকে একটা অংক বেঁধে দেয়া হয়েছে স্পন্সর পার্টনার হবার জন্য। সবার আগে বোর্ড খুঁটিয়ে দেখবে সেই অংক পূরণ করে স্পন্সর পার্টনার হবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে কারা কারা?
সেই আগ্রহী স্পন্সর পার্টনারদের সামাজিক মান মর্যাদা, সুনাম, পরিচিতি সব খুঁটিয়ে দেখা হবে। জানা গেছে, যে ৭ ফ্র্যাঞ্চাইজি গত বিপিএলে অংশ নিয়েছে, তাদের বাইরের কেউ বা কোন করপোরেট হাউজ যদি বিসিবির বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইস ধরে স্পন্সর পার্টনারের জন্য আবেদন করে, সেটাও গ্রহণ করা হবে এবং তাদের প্রস্তাব ও আনুসাঙ্গিক বিষয় সন্তোষজনক হলেও সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির বাইরের কারোও স্পন্সর পার্টনার হবার সম্ভাবনা থাকবে।