মৌসুম শুরুর আগে থেকেই মাঠের বাইরে অস্থির সময় পার করছিলেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। তবে দলের জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামতেই যেন তিনি অন্য এক মানুষ, যিনি দলের জন্য নিজের সবটুকু নিংড়ে দিতেও প্রস্তুত।
শনিবার রাতে এরই প্রমাণ দিয়েছেন নেইমার। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল বোর্দোর বিপক্ষে জয় পেতেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে পিএসজিকে। গত দুই জয়ের মতোই এবারও তাদের উদ্ধার করেছেন নেইমার। সবমিলিয়ে শেষ ৪ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই নেইমারের একমাত্র গোলে জয়ের মুখ দেখেছে পিএসজি।
বোর্দোর মাঠে খেলতে গিয়ে একটিমাত্র গোল করতে ৭০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় পিএসজিকে। যথারীতি গোলটি আসে নেইমারের পা থেকে। তাকে বল এগিয়ে দেন দলের আরেক তারকা খেলোয়াড় কাইলিয়ান এমবাপে।
ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকা এমবাপে, এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো নামেন মাঠে। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় সারাভিয়ার বদলি হিসেবে এমবাপেকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ থমাস টুখেল।
মাঠে নেমে কোচের পরিকল্পনার প্রতিফলন ঘটাতে মাত্র ১০ মিনিট সময় নেন এমবাপে। ডান পাশ দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ঢুকে যান বোর্দোর আক্রমণভাগে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে পাস বাড়িয়ে দেন বক্সে দাঁড়ানো নেইমারের উদ্দেশ্যে। ডিফেন্ডারদের পাশ কাটিয়ে নিজের ডান পায়ের ছোঁয়ায় দুর্দান্ত ফিনিশিং দেন নেইমার।
এই গোলেই ন্যুনতম ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। অথচ গোল হতে পারত আরও গোটা তিনেক। এমবাপে, নেইমার ও ডি মারিয়াদের নির্ঘাত গোলের শট দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ফিরিয়ে দেন বোর্দো গোলরক্ষক বেনইত কস্তিল। ফলে ১-০ গোলের জয়ে বাড়ি ফেরে পিএসজি।
এ জয়ের পর নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ফ্রেঞ্চ লিগের চ্যাম্পিয়ন দলটি। ৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ পরাজয়ে তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ খেলে দুইয়ে থাকা অ্যাঞ্জার্সের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। ঝুলিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে বোর্দো।