থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া কলেজছাত্রী লিজা রহমান (২০) মারা গেছেন।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢামেক সূত্র লিজার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লিজা গত শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানার পাশে রাজশাহী মহিলা টিটিসির সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, লিজার শ্বাসনালীসহ তার শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। প্রথম থেকেই তাকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল। তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক।
লিজা রহমানের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার স্বামী চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন। তারা নগরীর পবা নতুন পাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছিলেন, লিজা প্রথমে থানায় গিয়ে তার স্বামীর সাথে বনিবনা হচ্ছে না বলে জানান। সেখানে তিনি তার স্বামীর সাথে সমঝোতার কথাও বলেন। পরে ওসি তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন। পরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে গিয়ে কথা বলেন লিজা। সেখানে ঘটনা বলার পর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন কি না। এসময় লিজা বাইরে থেকে আসছি বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এরপরই তিনি থানা থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে কেরোসিন কিনে গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।