প্রথমে ৫ অক্টোবর শুরুর কথা ছিল। পরে তা পিছিয়ে করা হলো, ৭ অক্টোবর। সেটাও বহাল থাকেনি। আরও এক দফা পিছিয়ে অবশেষে আগামীকাল, ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মূল আসর জাতীয় লিগ। এটা হবে জাতীয় লিগের ২১ নম্বর আসর।
আগের মত আট দল দুই স্তরে বিভক্ত হয়ে খেলবে। চার ভেন্যুতে হবে এবারের খেলা। প্রথম স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা এবং ঢাকা বিভাগ। আর দ্বিতীয় স্তরের চার দল হলো বরিশাল, ঢাকা মেট্রো, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় স্তরের দুই দল ঢাকা মেট্রো আর চট্টগ্রাম বিভাগ।
দেশের শীর্ষ অন্যতম তারকা এবং ‘পঞ্চ পান্ডবের’ অন্যতম সদস্য তামিম ইকবাল দলে থাকার পরও চট্টগ্রাম বিভাগকে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক।
একইভাবে পঞ্চ পান্ডবের আরেক সদস্য এবং এ মুহূর্তে জাতীয় দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে থাকলেও ঢাকা মেট্রোর নেতৃত্বে থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়্যুব।
এদিকে কাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের জাতীয় লিগের উদ্বোধনী পর্বের অপর তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে।
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে প্রথম স্তরের দুই দল ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগ। এছাড়া খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম স্তরের রংপুর আর খুলনা বিভাগের খেলা। অন্যদিকে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দেখা হবে দ্বিতীয় স্তরের দুই দল বরিশাল আর সিলেটের।
১০-১৩ অক্টোবর প্রথম পর্ব শেষের পর তিনদিন বিরতি। এরপর ১৭ অক্টোবর শুরু দ্বিতীয় রাউন্ড। ওই পর্বে ঢাকার শেরে বাংলায় কোন খেলা নেই। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে খুলনা ও রাজশাহী।
আর রংপুর ও ঢাকা বিভাগ লড়বে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের খেলা হবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এবং ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগ প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে।