রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশন এই ধর্মঘট ডাকে
৯ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার জন্য উবার অ্যাপে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন উবার চালকেরা।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস অ্যাসোসিয়েশন এই ধর্মঘট ডাকে।
ধর্মঘট প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে উবার জানায়, কিছু ব্যক্তির কারণে তাদের চালকদের সঙ্গে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য তারা দুঃখিত।
উবার জানায়, তারা চালকদের জন্য স্থিতিশীল আয়ের সুযোগ তৈরিতে নির্ভরযোগ্য, সুবিধাজনক ও নিরাপদ পরিবহন বিকল্প সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া চালকদের সুবিধাকে উবার অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।তারা আরও জানায়, চালকদের সমস্যার জন্য উবারের সেবাকেন্দ্র রয়েছে। অ্যাপেও সমস্যা জানানো যায়। এর মাধ্যমেই তারা সমস্যার সমাধান করে থাকে।
উবার চালকদের দাবিগুলো হলো—
১.উবারের ওয়েবিল অনুযায়ী যাত্রা শুরু করা থেকে শেষ পর্যন্ত মিনিট ও কিলোমিটার হিসাব করে ভাড়া দেওয়া।
২.কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা।
৩.গ্যাসের মূল্য বাড়ায় ভাড়া বাড়ানো।
৪.চালকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও যাত্রী দ্বারা গাড়ির ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
৫.অভিযোগ যাচাই না করে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া।
৬.উবারের অ্যাকাউন্টেও যাত্রীর ছবি বাধ্যতামূলক ও যাত্রীকে লোকেশনের ব্যাপারে প্রাথমিক ট্রেনিং দেওয়া।
৭.সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটারে মধ্যে যাত্রীর সঙ্গে চালকদের সংযোগের ব্যবস্থা।
৮.চালকদের গন্তব্যের ক্ষেত্রে শতভাগ গন্তব্যের আশপাশে ট্রিপ দিতে হবে।
৯. ১২ ঘণ্টার বেশি অনলাইনে না থাকার সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম আহমেদ শুভ বলেন, “জুলাই থেকে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। ঈদের আগে উবার অফিস থেকে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানায়নি। তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।”
ধর্মঘট চললেও বিভিন্ন এলাকায় উবারের অ্যাপে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এবিষয়ে কাইয়ুম আহমেদের দাবি, ৮০ ভাগ গাড়ি বন্ধ। ২০ ভাগের মতো চলছে। যারা ফেসবুক তেমন বোঝেন না, তারা তাদের ধর্মঘট সম্পর্কে অবগত নন। তারাই সেবা দিচ্ছেন।