বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যায় সম্পৃক্ত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সোমবার (১৪ অক্টোবর) ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ছাত্র সংগঠনটি উল্লেখ করে, ৭ অক্টোবরের ওই ঘটনার সময় অমিত ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাজনকে নির্যাতনের জন্য উস্কানি দিয়েছেন। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছাত্রলীগ।
আবরারকে যে কক্ষে খুন করা হয়, সেই কক্ষের বাসিন্দা অমিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। আবরার হত্যার ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরআগে গত ৭ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত ১১ জন হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ এবং সদস্য মুনতাসির আল জেমি, এহতেসামুল রাব্বি তানিম ও মুজাহিদুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের নৃশংস নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ৭ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নিহত হন।
এঘটনায় তার বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলায় এপর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৫ জনসহ ১৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।