সাদা পোশাকে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে নাকানি চোবানি খাওয়াচ্ছে ভারত। তাদের ভয়ংকর ব্যাটিং ও বোলিং লাইনআপের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না প্রোটিয়ারা। একসময়ের স্পিন নির্ভর ভারতীয় দলে এখন জসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামির মতো দুর্দান্ত সব পেসার আছেন। আগামী নভেম্বরে এদের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু জবাব দেওয়ার মতো পেসার কি বাংলাদেশে আছে?

সবসময় স্পিন ট্র্যাকে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশে এমনিতেই পেসার সংকট। যারা আছেন তারা সবাই চোটে আক্রান্ত। সব মিলিয়ে দেশের পেসারদের নিয়ে যথেষ্ট দুর্ভাবনায় আছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। তবে সেই ধারাই বদলাতে চান নির্বাচকেরা। এই মৌসুম থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে অনেক। প্রধান নির্বাচকের আশা, এর সুফল মিলবে সামনে। প্রধান নির্বাচকের আশা, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিটনেস নিয়ে কড়াকড়ি পেসারদের ফিটনেসে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আজ মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের নান্নু বলেন, ‘গত ছয় মাস ধরে আমরা পেস বোলারদের নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কায় আছি। কারণ এখন এমন একটি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে অনেক খেলোয়াড় ইনজুরিতে।  যদি দশ জনের একটি তালিকা করি, তাহলে দেখা যাবে পাঁচজনই ইনজুরিতে পড়ে আছে। এইচপিতে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, তারাও ইনজুরিতে পড়েছে। এসব আমাকে যথেষ্ট ভোগাচ্ছে।’

চোটের কারণে এবার জাতীয় লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা আছে তাসকিন আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাতের। চোটের কারণেই প্রথম রাউন্ডে খেলতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। আরেক পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ নভেম্বরের আগে ফিরতে পারবেন না। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সীমাবদ্ধতা শুধুই লাল বলে। অনভিজ্ঞ আবু জায়েদ-ইবাদত হোসেন ভারতে গিয়ে বিশাল কিছু করে ফেলবেন- এমনটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তবে ভারত সফর নিয়ে আশু কোনো সমাধান নির্বাচকদের কাছে নেই। তাদের আশা, দূর ভবিষ্যতে কিছু হতে পারে।

মিনহাজুল আরও বলেন, ‘আমাদের পেস বোলারদের নিয়ে সবসময় একটি প্রশ্ন আছে যে ফিটনেস নেই। এখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে আমরা যেভাবে ফিটনেসের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছি ,এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এর ফলাফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। ফিটনেস না থাকলে দুই ইনিংসে বল করা আসলেই অনেক কঠিন। ম্যাচ জিততে হলে সব বিভাগেই ভালো করতে হবে। একেবারে ১৪০ কিলোমিটার গতির বোলিংই শুধু লাগে না। একটা ভালো সুইংয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতেও ব্যাটসম্যানকে আউট করা যায়।’