বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে কাল ভারতের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ড্র মেনে নিতে হয়। তবে এ ড্র-কে জয়ের সমান বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডে বরাবরই হাসি খুশি মানুষ। সাধারণত এই ব্রিটিশ কোচের লালচে মুখ কখনো হতাশার ছাপ দেখা যায় না। বলা যায় ‘ইতিবাচক’ মানসিকতার প্রতীক জামাল ভূঁইয়াদের কোচ। অথচ কাল ম্যাচ পরবতী সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে আবিষ্কার করা গেল দিশা হারানো নাবিকের মতো। শেষ মুহূর্তে জয় হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় খুবই হতাশ। অবশ্য এই ড্র-কে জয়ের সমানও মনে করছেন তিনি।
প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকার ব্যবধান পুঁজি করে ম্যাচের প্রায় শেষ পর্যন্তও জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ঠিক তখনই হৃদয় ভঙ্গ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে হেডে সমতাসূচক গোলটি করেন ভারতের আদিল খান। শেষ সময়ে গোল হজম করায় বাংলাদেশ দলের ‘মাস্টার মাইন্ড’ এর চেহারা দেখেই পড়ে নেওয়া যাচ্ছিল তিনি হতাশ। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে খুব কাছে গিয়েও জিততে না পারার কষ্ট বাংলাদেশ কোচের, ‘আমরা তিন পয়েন্ট পেতে পারতাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক পয়েন্ট পেয়েছি। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করায় আমি হতাশ।’
তবে স্বাগতিক ভারতকে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য শিষ্যদের প্রশংসা করলেন জেমি, ‘ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। তারা ভারতের মাটিতে অনেক দর্শকের সামনে যে ফুটবল খেলেছে; এককথায় অসাধারণ। ভারতের সবাই ভেবেছিল যে তারা ম্যাচটি জিতবে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে জয়টা নিশ্চিত হয়ে যেতো। সুযোগ নষ্টের কারণে আমি খুবই হতাশ।’
র্যাঙ্কিং ও শক্তির বিচারে এগিয়ে ছিল ভারতই। কিন্তু খাতা কলমের হিসাব পাল্টে দিয়েছেন জামালরা। অনেকের কাছেই এই ড্র বাংলাদেশের জন্য জয়ের সমান। তা স্বীকার করে নিলেও হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি জেমি, ‘সবাই জানে ভারত কতটা শক্তিশালী। ম্যাচে ফেবারিট ছিল ভারতই। কিন্তু আমি ছেলেদের বলে দিয়েছি তোমরা উপভোগ করো। চাপ নিয়ো না। ছেলেরা সেটাই করেছে। আসলে আমি জিততে পারলে খুশি হতাম। র্যাঙ্কিংয়ে ৮৫ ধাপ (৮৩ ধাপ) ওপরে থাকা দলের বিপক্ষে এ ড্র আমাদের জন্য জয়ের সমান।’