সৌদি আরব সরকারের ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন আরও ৭০ বাংলাদেশি। গতকাল সোমবার রাতে সৌদি এয়ারলাইন্সের (এসভি ৮০৪) একটি বিমানে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন এসব প্রবাসীরা।
বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- কুমিল্লার আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, নওগাঁর রাইসুল ইসলাম, হবিগঞ্জের তরিত মিয়া, নাটোরের রিদয় হোসেন, নারায়ণগঞ্জের মো. জসীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজিজুর, জামালপুরের আব্দুল খালেকসহ অনেকে।
বিমানবন্দরে নেমেই তারা অভিযোগ করেন, আকামার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা সৌদি আরবে বৈধভাবে ছিলেন এবং আকামার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও সৌদি পুলিশ তাদের আটক করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
তারা আরও জানান, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে কিংবা কর্মরত থাকা অবস্থায়, মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময়, বাজার করতে বের হলে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যেত তারা। আকামা দেখানোর পরও কোনো রক্ষা হয়নি। নিয়োগকর্তা বা কফিল কোনো দায় দায়িত্ব নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন দেশে ফেরা কর্মীরা।
চলতি বছরের ৯ মাসে সৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে ৩৬ হাজার ৭৫৩ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র সৌদি আরব থেকেই ১৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফিরেছেন।দেশে ফেরা কর্মীদের বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে ফেরত আসছেন। অনেকে খরচের টাকাও তুলতে পারছেন না। সমস্যা সমাধানে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উচিত কাজ নিশ্চিত করে পরে তাদের পাঠানো। যারা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে যাচ্ছেন তাদেরও সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত।’
তিনি আরও জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।