সাকিব আল হাসান জুয়াড়ির কাছ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। যদিও বিষয়টাকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে আইসিসি এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন সংস্থাকে জানাননি। এ বিষয়টাই এখন আইসিসির কাছে অনেক বড় অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।

আইসিসি থেকে এ বিষয়ে সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট সাকিবের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। সাকিব নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। যে কারণে সর্বোচ্চ শাস্তি নয়, ১৮ মাসের একটা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে সাকিবের ওপর।

এরই মধ্যে জানা গেছে শুধু মাত্র সাকিবের সঙ্গেই নয়, আকসু মুশফিকুর রহীমের মোবাইল এবং কল লিস্টও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছিল। আকসুর জেরার সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে।

মুশফিকের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আকসু মুশফিকের কাছে জানতে চায়, তাকে কোনো জুয়াড়ি ফোন করেছিল কি না। মুশফিক জানান, তাকে তেমন কেউ ফোন করেননি। আকসু তবুও বিশ্বাস করেনি মুশফিকের কথা। যে কারণে, তার মোবাইল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে তারা। পরীক্ষা করা হয় মুশফিকের মোবাইল কল লিস্টও। এরপর আকসু নিশ্চিত হয়, মুশফিকের কাছে এমন কোনো কল আসেনি।

জানা গেছে, ওই সময় প্রথমে আকসুর কাছে ফোন কল পাওয়ার কথা অস্বীকার করেন সাকিব। পরে আকসু যখন তার সামনে ফোন কল লিস্ট হাজির করে, তখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন তিনি। তখনই সাকিব জানিয়ে দেন, বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেননি। তাই, বিষয়টা কাউকে জানাইনি।

কিন্তু আইসিসির কাছে এটা অপরাধ। যার শাস্তি ৬ মাস থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি। সাকিব নিজের ভুল স্বীকার করা এবং ক্ষমা চাওয়ার কারণে শাস্তিটা নেমে আসতেছে ১৮ মাসে।