#আদালতে হাজির করা হয়নি সম্রাট-আরমানকে
#সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার প্রতিবেদন ৬ নভেম্বর
#সম্রাট আরমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ নভেম্বর
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে কারাবিধি অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তির আবেদন করেন তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা। আবেদনে আইনজীবী উল্লেখ করেন, সম্রাট খুবই অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। উন্নত চিকিৎসা না পেলে জীবন সংকটময় হতে পারে।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে উন্নত চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেন।
রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা বলেন, আমরা সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির একটি আবেদন করি। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী জেলারকে উন্নত চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
হাজির করা হয়নি সম্রাট-আরমানকে
রমনা থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলায় সম্রাট এবং আরমানের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তাদের আদালতে হাজির না করে কারা কর্তৃপক্ষ একটি কাস্টডি পাঠান।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সম্রাট ও আরমানকে আদালতে হাজির না করায় কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে কাস্টডি পাঠিয়েছেন।
সম্রাটের আইনজীবী বলেন, আজ সম্রাটকে আদালতে হাজির করার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কি কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করেনি তা আমাদের জানায়নি।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার প্রতিবেদন ৬ নভেম্বর
রাজধানীর রমনা থানায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
সম্রাট আরমানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ নভেম্বর
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মাদক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রিমান্ড শেষে কারাগারে সম্রাট
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২৪ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র্যাব। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১৫ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
সম্রাটের ‘ক্যাসিনো গুরু’ আরমানও কারাগারে
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ‘ক্যাসিনো গুরু’ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৭ অক্টোবর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র্যাব। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন গুলশানের মাদক মামলায় তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেফতার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর রাত থেকেই তার গ্রেফতার হওয়ার খবর এলেও পরদিন সকালে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যাব।
৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অন্যদিকে আরমানকে গ্রেফতারকালে আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার পকেটে ১৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে মাদক সেবনের দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়াও র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদ আইনে মামলা করেন। মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়।