সদা হাসিখুশি মানুষটির মুখ একদম বিমর্ষ, বিষন্ন। সংবাদ সম্মেলনে খুনসুঁটিতে মেতে থাকা মানুষটি কথা বলছেন মেপে মেপে।
দলের পরাজয়ের পর মন খারাপ থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর ভারতের অধিনায়কের হৃদয় ভেঙে চুরমার হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হার! তাও আবার ঘরের মাঠে। রোহিত শর্মা যেন মানতেই পারছেন না।
তবে দিল্লির জয়কে আপসেট বলছেন না ভারতের অধিনায়ক। জয় পাওয়ায় বাংলাদেশকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন রোহিত,‘জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা যে কোনো দলের জন্য বাড়তি সুবিধা। আমি আগেও বলেছি বাংলাদেশ যেকোনো দলকে হারাতে পারে। তারা আজ সেই কাজটাই করেছে। আজ (গতকাল) আমাদের থেকে তারা সব বিভাগে এগিয়ে ছিল। পুরো ম্যাচে ভালো খেলেছে। আমি মোটেও এ জয়কে আপসেট বলবো না। জয় তাদেরই প্রাপ্য।’
অতীত রেকর্ড ভারতের পক্ষে কথা বলছিল। এর আগে দুই দল ৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছিল। ৮টিতেই জিতেছিল ভারত। বাংলাদেশ নবম ম্যাচে জয়ের খাতা খুলল। অতীত রেকর্ড নিজেদের পক্ষে থাকলেও রোহিত বিশ্বাস করেন নির্দিষ্ট দিনের ভালো পারফরম্যান্সে যে কেউই জিততে পারে।
‘আপনি হয়তো ওই আট ম্যাচের কথা বলছেন। কিন্তু বিষয়টা তেমন নয়। আমরা সবাই ক্রিকেটের ছাত্র। প্রত্যেক সময় আমাদের সামনে একটি করে নতুন ম্যাচ আসে। আমরা প্রত্যেক ম্যাচ নতুন ম্যাচ মনে করেই খেলতে নামি। আমরা কার বিপক্ষে খেলছি সেটা বড় বিষয় নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলতে পারি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও খেলতে পারি। আমরা মোটেও ওদের দলকে হাল্কা করে নিইনি।’ – বলেছেন রোহিত।
সাকিব ও তামিমকে ছাড়া ভারত সফর করছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ও মুশফিকের উপস্থিতিতে এক ঝাঁক নতুন ক্রিকেটার নিয়ে ভারত মিশনে বাংলাদেশ। নতুন এ খেলোয়াড়দের নিয়ে বাংলাদেশ অন্যরকম বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের অধিনায়ক।
‘দেখুন আমরা অনেক আগের থেকে টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করেছি। আমার স্পষ্ট মনে নেই আমরা কবে থেকে খেলা শুরু করেছি। তবে এতোটুকু বলতে পারছি এই বাংলাদেশ ভিন্ন দল। সেই বাংলাদেশ ও এই বাংলাদেশ এক নয়। নতুন ক্রিকেটার এসেছে। তাদের নিয়ে দলটা অন্যরকম। তাই তাদেরকে হাল্কা করে নেওয়ার কিছু নেই।’ – যোগ করেন রোহিত।
মুশফিকুর রহিমের হাফ সেঞ্চুরি, সৌম্য ও নাঈমের দায়িত্বশীল ইনিংস এবং আমিনুল ইসলাম, আফিফ হোসেন ও শফিউলের অবদানে ভারতকে ঘরের মাঠে বধ করেছে বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্য সিরিজ জয়। পারবে তো বাংলাদেশ?