বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ওইদিন বেলা ১১টায় জানাজা  অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির সদ্য প্রয়াত এই নেতার।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রবাসী মার্কিন নেতাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান। 

শায়রুল কবির খান জানান, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ওইদিন বেলা ১১টায় জানাজার পর দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে খোকার মরদেহ। এরপর তাঁর মরদেহ রাখা হবে বাদ জোহর বিএনপি নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। বেলা ৩টায় রাখা হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভবনে। এরপর গোপীবাগ নিজ বাসায় হয়ে ধুপখোলা মাঠে জানাজা শেষে জুরাইন গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে খোকার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। জানাজার আগে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর প্রতি সম্মান জানান। প্রথম জানাজায় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রবাসী বাঙালিরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন দূতাবাস কর্মকর্তারাও। সেখানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন একাত্তরের গেরিলা বাহিনীর এই সদস্যকে।

স্থানীয় সময় সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে দুপুরের পরই তা জমা দেন।

ইশরাক হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে এমিরেটস-এর একটি এয়ারলাইন্সে করে বাবার মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাবো। সঙ্গে আমার মা যাবেন।’  দেশবাসীর কাছে বাবার জন্যে দোয়া চেয়ে ইশরাক আরো বলেন, ‘কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

দীর্ঘ পাঁচ বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী ইসমত হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেক ও ছেলে ইশফাক হোসেনকে রেখে গেছেন।