জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে হল ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর হল ছাড়ার সময়সীমা কয়েক দফায় পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত হল ত্যাগ করে সে বিষয়ে সকাল থেকে প্রতিটি কক্ষে গিয়ে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার তাদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের এমন নির্দেশনা ও আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো সময় আবারও হামলার আশঙ্কা করছেন আন্দোলনকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপদ রাখতে অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষার্থী বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

ju

হল খালি করার এ সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আইন ও বিচার বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, হঠাৎ হল ছাড়ার এ সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন তারা। সামনের মাসেই তাদের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পড়াশোনা বাদ দিয়ে তাদের এখন বাড়ির পথে রওনা দিতে হচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার পরে আন্দোলনে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ কারণে তারাও ক্যাম্পাসে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে আন্দোলনকারীরা হল খালি করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ।

ju

তারা বলছেন, উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এর আগে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবেন না।

এদিকে হল ছাড়ার এ সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি জাবি ছাত্রলীগ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করলেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তারাও ক্যাম্পাসে থাকছেন।