বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাদেক হোসেন খোকার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় খোকার মরদেহ। আনুষ্ঠানিকতা সেরে সকাল নয়টার পর তাঁর মরদেহ নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রওনা দেয়।
সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কফিন নেয়া হয়।
বাদ জোহর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা। বিকেল ৩টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তৃতীয় দফা জানাজা শেষে খোকার মরদেহ নেওয়া হবে গোপীবাগে তাঁর নিজ বাসভবনে। বাদ আসর স্থানীয় ধূপখোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ দফা নামাজে জানাজা। পরে তাঁর লাশ জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হবে।
আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে খোকার মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। মরদেহের সঙ্গে একই ফ্লাইটে খোকার স্ত্রী ইসমাত হোসেন, বড় ছেলে ইশরাক হোসেন, ছোট ছেলে ইসফাক হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেকসহ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কপোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র আব্দুস সালাম ঢাকায় এসেছেন।
রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে। এর আগে তাঁর চার দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
,সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান মুক্তিযোদ্ধা, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। দীর্ঘ পাঁচ বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী ইসমত হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেক ও ছেলে ইশফাক হোসেনকে রেখে গেছেন।