আমাদের মূল কাজ হচ্ছে সরকারকে সরাতে হবে। এজন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের একটি হোটেলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত ‘ফেনী নদীর পানি চুক্তি: বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিপর্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দলমত নির্বিশেষে সব মানুষকে এক করে দালালের মতো বসে থেকে যারা আমাদের সবকিছুকে তছনছ করছে তাদের সরাতে হবে। সেজন্য আমরা বলেছি রাতের নির্বাচন বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নতুন ভাবে নির্বাচন করতে হবে। যার মাধ্যমে জনগণের সরকার হবে। গণতান্ত্রিক সরকার হবে।  

ফেনী নদীর পানি চুক্তির বিষয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি উল্লেখ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা এমন একটা সংসদ যেখানে এ চুক্তিগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের সংবিধানে বলা আছে যেকোনো চুক্তি নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে হবে। অথচ তারা এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি।

ফেনী নদী বাংলাদেশের নদী জানিয়ে ফখরুল আরো বলেন, এটি অভিন্ন নদী নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলছেন খাবার পানি চাইলে কি পানি দেবো না? ভালো কথা পানি দেবেন। কিন্তু আমাদের যে লাখ লাখ মানুষ তিস্তার অববাহিকায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, জীবন-জীবিকা নষ্ট হচ্ছে। সে বিষয় নিয়ে আপনারা কথা বলবেন না? ১২ বছরেও তিস্তার এক ফোঁটা পানি আনতে পারলেন না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা কখনও ভারতবিরোধীতা করিনি। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। সমস্যা হলো এমন একটা সরকার যারা আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে পারে না। বার্গেনিং করতে পারে না। সেই শক্তিটা তাদের নেই।

এ সময় ফখরুলের দাবি, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে সর্বোপরি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে তারা একটি পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে।

এ ছাড়াও খালেদা জিয়াকে কেন আটক করে রাখা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে আটক করে রাখার কোনো বৈধতা নেই। আইনগতভাবে তিনি আটক থাকতে পারেন না। একটা মিথ্যা মামলার ওপরে সাজা দিয়ে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে আটক রাখা হয়েছে এজন্য তিনি হলেন স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক। যখন টিপাইমুখ বাঁধ করার জন্য তোরজোড় চলছিল তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন। তিনি প্রেস কনফারেন্স করেছেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই করেছেন। সেজন্যই আজকে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।