সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম

কুমিল্লার জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে গোমতী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে।
অনেক জল্পপনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ সকাল দশ টা থেকে এই প্রতীক্ষিত অভিযান শুরু হয়।
কুমিল্লা গোমতী নদীর চরে ও তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে ১৩৯ টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোমতীর পালপাড়া, চাঁওনপুর, আড়াইওড়া শ্রীপুর এলাকায় গোমতী বেড়ীবাঁধ ও চর দখল করে গড়ে উঠা দোকানপাট, বাড়িঘর বোল্ডোজার- ভেকু মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের স্থানে অবৈধ স্থাপনা যারা নির্মাণ করেছেন গতকাল রবিবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসন তাদেরকে উচ্ছেদের বিষয়ে অবগত করেন।
এদিকে উচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে গোমতীর চর ও বেড়িবাঁধ দখলকারীরা সকাল থেকে নিজ উদ্যেগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে থাকেন।
উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃআবুল ফজল মীর জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সারাদেশের ৬৪ জেলার নদনদী খাল বিল ও ছড়াসহ অন্যান্য সরকারী জলাশয় এবং তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার প্রেক্ষিতে আজ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোমতীনদীর ১৩৯ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গোমতীর আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর,পশ্চিম মাঝিগাছা, পশ্চিম বিষ্ণুপুর আড়াইওড়া ও দক্ষিণ রসুলপুর এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ,আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.কে.এম ফয়সাল, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম, অমিত দত্ত, সৈয়দ ফারহানা পৃথা, মোঃআশরাফ আলী,বেগম নাসরিন সুলতানা নিপা, মোঃআবু সাঈদ, নাসরিন সুলতানা রিপা, এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদুল হাসানসহ জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।